1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
১৪ বছর পর কলকাতায় লিওনেল মেসির আগমন, প্রীতি ম্যাচসহ ব্যস্ত কর্মসূচি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে পানি বণ্টন চুক্তি, সীমান্ত কৃষিতে স্বস্তির আশা কেরানীগঞ্জে জাবালে নূর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, সাত ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি শোবিজ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে রূপসজ্জাশিল্পে নতুন পদে মোনালিসার দায়িত্ব গ্রহণ ঢালিউডের শীর্ষ নায়িকাদের ছবিপ্রতি পারিশ্রমিকের বর্তমান চিত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎয়ের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী প্রার্থীদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা, ওসমান হাদি হামলার ঘটনায় একজন শনাক্ত শরীফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টা: আসামি ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে তিন দিনের জন্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

উপকূলীয় অঞ্চল সংরক্ষণে বনায়ন ও কৃষিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক

উপকূলীয় অঞ্চলকে বনায়ন ও কৃষির জন্য সংরক্ষণে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যমান সংকটগুলো দ্রুত জটিল রূপ নিচ্ছে এবং প্রতিদিন নতুন নতুন দুর্যোগ তৈরি হচ্ছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং উপকূলবাসীর জীবিকাকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বল্পমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করে সমন্বিত ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি তুলে ধরেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সামরিক জাদুঘর মিলনায়তনে দুদিনব্যাপী জাতীয় উপকূল সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে উপকূলীয় উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় করণীয় বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পায়।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী বিপুল জনগোষ্ঠী বর্তমানে বহুমাত্রিক সংকটের মুখোমুখি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হিসেবে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ভূমি ক্ষয় এবং অনিয়ন্ত্রিত মানব কর্মকাণ্ডের কারণে কৃষিজমি ও প্রাকৃতিক সম্পদ দ্রুত বিনষ্ট হচ্ছে। এর ফলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, পানিসংকট বাড়ছে এবং দারিদ্র্য পরিস্থিতি আরও গভীর হচ্ছে। একই সঙ্গে জলবায়ু উদ্বাস্তু সৃষ্টি, মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ বৃদ্ধি এবং কার্বন শোষণের সক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার মতো দীর্ঘমেয়াদি সংকট তীব্রতর হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এসব বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে উপকূল ব্যবস্থাপনায় একটি পৃথক ও শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বাস্তবে রূপ নিলে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পানিসম্পদ, নদী রক্ষা, পরিবহন, কৃষি ও পরিবেশ—এই সব খাতকে সমন্বিতভাবে বিবেচনা করতে হবে। খণ্ডিত উদ্যোগের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে উপকূল ব্যবস্থাপনা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় অনিয়ন্ত্রিত উন্নয়ন ও পর্যটন অবকাঠামোর নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে সেন্ট মার্টিন দ্বীপসহ কয়েকটি এলাকায় অপরিকল্পিত পর্যটন স্থাপনার কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, স্থানীয় নৌযান চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এবং জীবিকানির্ভর মানুষের আয় কমে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এসব খাতের ওপর নির্ভরশীল মানুষের জন্য বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা গ্রহণকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।

তিনি জানান, উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও টেকসই জীবিকা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিকল্প জীবিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সহযোগিতায় কৃষিভিত্তিক ও পরিবেশবান্ধব কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে বনায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো এবং একই সঙ্গে স্থানীয় মানুষের আয়ের পথ তৈরি করার ওপরও জোর দেওয়া হয়।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় উপকূল সম্মেলনের আহ্বায়ক গওহার নঈম ওয়ারা। অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, বন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কূটনৈতিক প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। তাঁরা উপকূলীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু সহনশীলতা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনে উপকূলীয় অঞ্চলের বর্তমান চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে বিভিন্ন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নীতিনির্ধারক, গবেষক ও উন্নয়নকর্মীদের অংশগ্রহণে এসব আলোচনার মাধ্যমে উপকূল ব্যবস্থাপনায় কার্যকর ও সমন্বিত দিকনির্দেশনা নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com