1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সম্পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়নি: প্রধান বিচারপতি টিএফআই সেলে গুম ও নির্যাতন: শেখ হাসিনাসহ ১৭ আসামির অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ ডিসেম্বর ভূমি রেজিস্ট্রেশন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার তাগিদ যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় ও দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপে অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণা নির্বাচনী সময়ে অপতথ্য মোকাবিলায় সত্য ও যাচাইকৃত সংবাদ উপস্থাপনের আহ্বান ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু, বছরে প্রাণহানি ৪০৯ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য দেশীয় স্বাস্থ্য সেবায় আস্থা বৃদ্ধিতে কাঠমোগত সংষ্কার ও কার্যকর প্রয়োগের বিকল্প নেই; ঢাকা চেম্বার সভাপতি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের জন্য পুলিশের নিরাপত্তা প্রটোকল ও হামলা তদন্তে অগ্রগতি ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ঘিরে অভিযোগে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার তলব

টিএফআই সেলে গুম ও নির্যাতন: শেখ হাসিনাসহ ১৭ আসামির অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ ডিসেম্বর

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৫ বার দেখা হয়েছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শাসনামলে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

আজ রোববার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেন।

প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে জানানো হয়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই সেলে আটক ব্যক্তিদের গুম করে দীর্ঘ সময় ধরে নির্যাতন চালানো হয়, যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতাভুক্ত। এ মামলায় চারটি পৃথক অভিযোগ উত্থাপন করে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান। তার বক্তব্যে অভিযোগগুলোর আইনি ভিত্তি, ঘটনার ধারাবাহিকতা এবং আসামিদের সংশ্লিষ্টতার বিষয় তুলে ধরা হয়।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের বিরোধিতা করে আদালতের কাছে তাদের মক্কেলদের অব্যাহতি দাবি করেন। তারা অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা, সাক্ষ্যপ্রমাণের গ্রহণযোগ্যতা এবং আইনগত দিক নিয়ে আপত্তি উত্থাপন করেন। এসব যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি শুনে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ঘোষণার জন্য ২১ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেন।

এই মামলায় মোট ১৭ জন আসামির মধ্যে ১০ জন সেনা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার রয়েছেন। তারা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম ও কে এম আজাদ; কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন এবং আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে); লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম সুমন ও মো. সারওয়ার বিন কাশেম।

এ মামলার অপর আসামিদের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ সাতজন বর্তমানে পলাতক রয়েছেন বলে ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত ৮ অক্টোবর শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গত ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ওই দুই মামলার ৩০ আসামির মধ্যে ২৫ জনই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে নয়জন অবসরপ্রাপ্ত, একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে এবং ১৫ জন তখন কর্মরত ছিলেন। এদের মধ্য থেকে কর্মরত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।

পরবর্তীতে গ্রেপ্তার সেনা কর্মকর্তাদের রাখার জন্য ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা করা হয়। গত ১২ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারা এবং প্রিজন অ্যাক্টের বিধান অনুযায়ী ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোড সংলগ্ন এমইএস বিল্ডিং নম্বর-৫৪-কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। গ্রেপ্তার সেনা কর্মকর্তাদের সেখানে রাখা হয়।

টিএফআই সেলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ সংক্রান্ত এই মামলাগুলো দেশের বিচারিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আগামী ২১ ডিসেম্বরের আদেশের মাধ্যমে মামলার পরবর্তী আইনি ধাপ নির্ধারিত হবে, যা বিচারপ্রক্রিয়ার অগ্রগতির ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com