1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি শুরু শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: সিইসি বিজয় দিবসে নির্দিষ্ট সময় বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল চলাচল চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদিকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে গুলিবিদ্ধ শরীফ ওসমান বিন হাদির বিদেশে চিকিৎসার সব ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবে সিএএর আওতায় ওড়িশায় ৩৫ বাংলাদেশির নাগরিকত্ব, আসামে প্রথমবার একজন বাংলাদেশি নারীর স্বীকৃতি ন্যাটোতে যোগদানের লক্ষ্য পরিত্যাগের প্রস্তাব দিলেন জেলেনস্কি, যুদ্ধ অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা সুদানে নিহত শান্তিরক্ষীদের স্মরণে নেমপ্লেট পরে বিজয় দিবসে প্যারাট্রুপারদের বিশ্ব রেকর্ড প্রচেষ্টা পর্তুগাল দলে রোনালদোর প্রভাব গোলের বাইরেও বিস্তৃত: কোচ মার্টিনেজ

পর্তুগাল দলে রোনালদোর প্রভাব গোলের বাইরেও বিস্তৃত: কোচ মার্টিনেজ

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

খেলাধুলা ডেস্ক

পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ রবার্তো মার্টিনেজ আবারও দলের অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ফুটবলার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরেছেন। তার মতে, মাঠে রোনালদোর অবদান কেবল গোল করা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়; বরং তার উপস্থিতি, অভিজ্ঞতা ও কৌশলগত প্রভাব পুরো দলের খেলায় সরাসরি প্রভাব ফেলে এবং প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে সবসময় অতিরিক্ত চাপে রাখে।

বর্তমানে ৪০ বছর বয়সী ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো সৌদি প্রো লিগে ক্লাব ফুটবল খেললেও জাতীয় দলে তার গুরুত্ব আগের মতোই অটুট রয়েছে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ক্লাব ও দেশের হয়ে মিলিয়ে প্রায় ৯৫০ গোল করা এই ফরোয়ার্ডকে ঘিরে পর্তুগালের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও এখনো আবর্তিত হচ্ছে। ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা বিশ্বকাপে পর্তুগাল দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার, যা রোনালদো নিজেই নিজের শেষ বিশ্বকাপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বলে জানা গেছে।

রোনালদোর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৩ সালে, মাত্র ১৮ বছর বয়সে। সেই সময় থেকেই টানা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি পর্তুগাল জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি শুধু গোলদাতাই নন, বরং দলের আক্রমণভাগের কেন্দ্রবিন্দু এবং মাঠের ভেতরে নেতৃত্বের প্রধান উৎস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার ধারাবাহিক উপস্থিতি ও পারফরম্যান্স পর্তুগালকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি প্রতিযোগিতামূলক শক্তিতে পরিণত করেছে।

কোচ রবার্তো মার্টিনেজ সম্প্রতি এক আলোচনায় রোনালদোর কৌশলগত গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, মাঠে রোনালদো থাকলে প্রতিপক্ষ দলকে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে অতিরিক্ত মনোযোগ দিতে হয়। ফলে প্রতিপক্ষের অন্তত দুইজন খেলোয়াড় প্রায় সবসময় তাকে সামলাতে ব্যস্ত থাকে। এর ফলে দলের অন্য আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের জন্য জায়গা তৈরি হয়, যা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দল আক্রমণে বাড়তি সুবিধা পায়। বক্সের ভেতরে রোনালদোর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে কোচ দলের জন্য অমূল্য সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করেন।

রোনালদোকে ঘিরে সমালোচনার বিষয়েও কথা বলেন মার্টিনেজ। তার মতে, অনেক সময় বাহ্যিক আলোচনায় মাঠের প্রকৃত চিত্রটি সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। কোচ জানান, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করা হয় পারফরম্যান্স, মানসিকতা ও পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে। বর্তমান সময়ে রোনালদোর মানসিক প্রস্তুতি, শৃঙ্খলা এবং দলকে সহযোগিতা করার মনোভাবকে তিনি উদাহরণযোগ্য বলে উল্লেখ করেন। বয়সের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তিনি যেভাবে নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ধরে রেখেছেন, তা তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।

দলের ভেতরে নতুন ও পুরোনো প্রজন্মের খেলোয়াড়দের ওপর রোনালদোর প্রভাবও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন মার্টিনেজ। তার ভাষায়, জাতীয় দলে রোনালদোর উপস্থিতি শুধু খেলায় নয়, বরং ড্রেসিংরুমের পরিবেশেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। অনুপ্রেরণা, দায়িত্ববোধ এবং দেশের জার্সির প্রতি সম্মান—এই তিনটি বিষয় তিনি নিয়মিতভাবে দলের ভেতরে ছড়িয়ে দেন, যা পর্তুগালের দলগত সংস্কৃতিকে আরও শক্তিশালী করেছে।

পরিসংখ্যানের দিক থেকেও রোনালদোর অবদান পর্তুগালের ফুটবল ইতিহাসে অনন্য। তার জাতীয় দলে অভিষেকের আগে দেশটি কোনো বড় আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়নি। তবে তার নেতৃত্ব ও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পর পর্তুগাল প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করে। পাশাপাশি দলটি দুইবার উয়েফা নেশনস লিগের শিরোপা জয় করেছে, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পর্তুগালের অবস্থান আরও সুসংহত করেছে।

সর্বশেষ জুন মাসে দ্বিতীয়বারের মতো নেশনস লিগ জিতে নতুন ইতিহাস গড়ে পর্তুগাল। এই সাফল্য দলের সাম্প্রতিক উন্নতি ও স্থিতিশীলতার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ও তরুণ প্রতিভার সমন্বয়ে গড়া এই দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রোনালদোর ভূমিকা এখনো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তার অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব পর্তুগালকে আবারও বড় মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার শক্তি জোগাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com