জেলা প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ডাবল মার্ডারসহ একাধিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ আরও তিনটি হত্যা মামলায় জামিন পেয়েছেন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ আদালত থেকে এই জামিনের কাগজপত্র ইতিমধ্যে কারাগারে পৌঁছেছে।
এর আগে হাইকোর্ট থেকে ছোট সাজ্জাদ চারটি হত্যা মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। এ নিয়ে মোট সাতটি হত্যা মামলায় জামিন লাভ করলেন তিনি। তবে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির পরও তিনি স্বল্প সময়ে কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না।
সর্বশেষ যে তিনটি মামলা থেকে জামিনের কাগজপত্র এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে চান্দগাঁও থানার তানভীর ছিদ্দিকী হত্যা মামলা, হৃদয় চন্দ্র তারুয়া হত্যা মামলা এবং ফজলে রাব্বী হত্যা মামলা। জামিনের পরও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট থানা আদালতে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করবেন বলে জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলা প্রশাসক শাহ সৈয়দ শরীফ জানান, ছোট সাজ্জাদের সাতটি হত্যা মামলার জামিনের কাগজপত্র সম্প্রতি কারাগারে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, আসামি জামিন পেলেও নিরাপত্তার কারণে সঙ্গে সঙ্গে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।
সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মোট ১০টি হত্যা মামলা এবং ১৯টি মামলা দায়ের রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে নগরীতে জোড়া খুনসহ আলোচিত হত্যাকাণ্ড। তার স্ত্রী তামান্না শারমিনের বিরুদ্ধেও অন্তত আটটি হত্যা মামলা রয়েছে।
চট্টগ্রামের বায়েজিদ, অক্সিজেন এবং চান্দগাঁও থানার এলাকায় ‘ছোট সাজ্জাদ’ নামে পরিচিত এই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ অতীতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। চলতি বছরের ১৫ মার্চ ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মো. জামালের ছেলে। তার স্ত্রী তামান্না শারমিনকে ১০ মে চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে তার স্ত্রী একটি ভিডিওতে আদালত ও জামিন সংক্রান্ত বক্তব্য প্রকাশ করেন, যা ভাইরাল হয়। এরপরই ঢাকা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়।
ছোট সাজ্জাদের জামিন লাভের পরও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সতর্ক রয়েছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডের এই শীর্ষ সন্ত্রাসী যেন কারাগার থেকে বের হতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
চান্দগাঁও থানার ওসি জাহেদুল কবির জানান, সাজ্জাদকে দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম আদালতের এপিপি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, এই আবেদনগুলো আদালতে বর্তমানে অপেক্ষমান। যেহেতু আসামিরা বিভিন্ন কারাগারে আটক, অনলাইন মাধ্যমে শুনানি গ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে।