জাতীয় ডেস্ক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী ও বিশেষ ভোটারের জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধন করেছেন মোট ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ লাখ ৫৪ হাজার ১২৩ জন এবং নারী ভোটার ২৯ হাজার ৫৪৯ জন। দেশের অভ্যন্তরীণ নিবন্ধনকারীর সংখ্যা ৫২ হাজার ১৫ জন, যাদের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবী ৫১ হাজার ৯৫৫ জন এবং নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ৬০ জন। দেশীয় নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৫০ হাজার ৩৮২ জন এবং নারী ১ হাজার ৬৩৩ জন। এই তথ্য বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের পোস্টাল ব্যালট ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
এবারই প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন আইটি সমর্থিত পোস্টাল ব্যালটে ভোট গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। এই ব্যবস্থায় ভোটাররা অনলাইনে নিবন্ধন করে ভোট প্রদান করতে পারবেন। ভোটের জন্য নিবন্ধন শুরু হয়েছে ১৯ নভেম্বর থেকে এবং চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রবাসী ভোটার ছাড়াও আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি ও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিতরা এই প্রক্রিয়ার আওতায় ভোট দিতে পারবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যারা অ্যাপে নিবন্ধন করবেন, তাদের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট ডাকযোগে পাঠানো হবে। ভোটাররা ভোট প্রদান করে তা রিটার্ন খামে পুনরায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন।
এবারের নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন দেশে ভোটারের অংশগ্রহণ নজর কাড়ছে। নিবন্ধন চলেছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, মিশর, মোজাম্বিক, লিবিয়া, মরিশাস, হংকং, ব্রাজিল, উগান্ডা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, লাইবেরিয়া, বতসোয়ানা, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, তানজানিয়া, সোমালিয়া, ঘানা, গিনি, মরক্কো, দক্ষিণ সুদান, চিলি, সিয়েরা লিওন, ইকুয়েডর, তাইওয়ান, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গাম্বিয়া, পেরু, জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব সহ অন্যান্য দেশ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রথমবারের এই আইটি সমর্থিত পোস্টাল ভোটের উদ্যোগ প্রবাসী ও বিশেষ ভোটারদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও প্রক্রিয়ার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রবাসী ভোটাররা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন নিশ্চিত করার পর ডাকযোগে ভোট গ্রহণ করতে পারবেন। ভোট প্রদান শেষে রিটার্ন খামে ভরে তা নির্ধারিত সময়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এই পদ্ধতি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও আধুনিক ও নিরাপদ করার পাশাপাশি ভোটারদের জন্য সুবিধাজনক করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন নিয়মিতভাবে নিবন্ধনকারীর তথ্য যাচাই করে যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে। ভোটারের সঠিক ঠিকানা নিশ্চিত হওয়ার পরই পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ করা হবে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রবাসী ও বিশেষ ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগে আরও স্বচ্ছতা এবং সময়োপযোগী ব্যবস্থাপনা আশা করা হচ্ছে।