জাতীয় ডেস্ক
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিকে (Electoral Enquiry and Adjudication Committee) নিরাপত্তা ও সহায়তা প্রদানের জন্য পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই কমিটি নির্বাচনী অপরাধ তদন্ত এবং সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে।
ইসির আইন শাখা থেকে ইতিমধ্যেই নির্দেশনাটি দেশের সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটির কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কমিটির সঙ্গে দুইজন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া, কমিটি যদি অনুসন্ধান বা বিচার কার্য পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত সহায়ক বাহিনী প্রয়োজন মনে করে, তবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৯১কক (২) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ বা অন্য কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কমান্ডার/ইনচার্জ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
নির্বাচন কমিশন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। নির্বাচনী অপরাধ মোকাবিলা, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গঠিত এই কমিটি নির্বাচনের সময় নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি বিচারকদের নিয়ে গঠিত এবং এটি বিভিন্ন নির্বাচনী অভিযোগ ও অপরাধের প্রাথমিক তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্বে থাকবে। পুলিশি সহায়তার মাধ্যমে কমিটি নিজস্ব কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পাদন করতে পারবে, যা নির্বাচনের নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
এই পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু ও নিরাপদ করার অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশি সমন্বয় ও সহায়তার মাধ্যমে কমিটি নির্বাচনী অপরাধের প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থা গ্রহণে সক্ষম হবে, যা ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনী কার্যক্রমের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।