অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা: বিএনপি এবং এনসিপির মধ্যে নির্বাচনি সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি জানা গেছে যে, বিএনপি এনসিপির একটি বড় অংশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে, যেখানে নির্বাচনের আসন ভাগাভাগি এবং সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিএনপি, এনসিপির সঙ্গে তার সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চায় এবং যদি সবকিছু ভালোভাবে এগোয়, তবে কিছু আসন তাদের জন্য ছাড় দেওয়া হতে পারে।
এছাড়া, বিএনপির মধ্যে সম্ভাবনা রয়েছে যে, এনসিপি থেকে পদত্যাগকারী নেতারা আবার ধানের শীষ প্রতীক পেতে পারেন। তবে, এনসিপির মধ্যে বিষয়টি গোপন রাখতে চাওয়া হলেও, ইতোমধ্যে কয়েকটি আলোচনায় এগিয়ে গিয়েছে এবং শীঘ্রই সবকিছু স্পষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এক কেন্দ্রীয় নেতা।
বিএনপি ও এনসিপির মধ্যে এই আলোচনা কিছুটা গোপন থাকলেও, জামায়াতের সঙ্গে জোট বিষয়ে এনসিপির মধ্যে কিছু বিভক্তি রয়েছে। জানা গেছে, এনসিপির বড় একটি অংশ জামায়াতের সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক জোটে যেতে চান না, কারণ এটি তাদের নৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করে এবং তাদের সমর্থক, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।
এদিকে, এনসিপির দলের মধ্যে গত কয়েকদিনে পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব এবং রাজনৈতিক পর্ষদের সদস্য তাসনিম জারা শনিবার সন্ধ্যায় দল থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে, দলের জামায়াতবিরোধী নেতা মীর আরশাদুল হকও পদত্যাগ করেন। এনসিপির প্রায় ৩০ জন নেতা, যারা জামায়াতবিরোধী, দলীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে স্মারকলিপি দিয়েছেন, যাতে তারা জামায়াতের সঙ্গে কোনো ধরনের জোটে না যাওয়ার জন্য স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণের অনুরোধ করেছেন।
এই চিঠির স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, এবং উত্তরাঞ্চলের সংগঠক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরীসহ আরও অনেকে রয়েছেন। তারা জোর দিয়ে বলেন যে, এনসিপির নীতিগত অবস্থান বজায় রাখতে হবে এবং কোনো কৌশলগত কারণে নীতিগত অবস্থান বিসর্জন দেওয়া উচিত নয়।
এদিকে, এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবং বিএনপির মধ্যে আলোচনা চলছে, তবে দুটি পক্ষের মধ্যে এখনও কোনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পর সরাসরি আলোচনা হতে পারে, তবে এটি এখনও নিশ্চিত হয়নি।
এই অবস্থায়, রাজনৈতিক মহল এবং জনসাধারণের মধ্যে এনসিপি-বিএনপি সম্পর্কের ভবিষ্যৎ এবং জামায়াতের সঙ্গে তাদের সমঝোতার বিষয়ে আরও আলোচনা এবং স্পষ্টতা প্রয়োজন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।