ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেয়।
সাংবাদিক, আইনজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ ৯ ব্যক্তির করা এক রিট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে আইনসচিব ও তথ্যসচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ৮ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হয়। আইনের ২৫ ও ৩১ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৯ ব্যক্তি গত ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক ও শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, আইনটির ২৫ ধারায় আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ-প্রকাশ ইত্যাদি বিষয়ে বলা আছে। ৩১ ধারায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো ইত্যাদি অপরাধের দণ্ডের বিষয় বলা আছে। ধারা দুটিতে যে অপরাধের কথা বলা হয়েছে, তা সুস্পষ্ট নয়। ধারা দুটি সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তিনি আরও বলেন, ধারা দুটিতে যে অপরাধের কথা বলা হয়ছে তা সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। যার ফলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চাইলে তার পছন্দমতো ব্যক্তিকে হয়রানির সুযোগ থাকে। তাই ধারা দুটি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। আদালত আজ সেই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করে আদেশ দেয়। বাসস