২০২৩ বিশ্বকাপ খেলতে হলে কঠিন সমীকরণ মিলিয়েই খেলতে হবে বাংলাদেশকে। আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগ হচ্ছে সেই কঠিন সমীকরণ। আইসিসি চায় ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে আয়োজিত দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোকে অর্থবহ করে তুলতে। সে কারণেই এ ভাবনা। নতুন নিয়মানুযায়ী ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের হিসেব নেই। স্বাগতিক হিসেবে ভারত সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে।
ওয়ানডে লিগের শীর্ষ সাত দল যোগ দেবে তাদের সঙ্গে। বাকি দুটি দল নির্ধারিত হবে আরেকটি বাছাইপর্বে। বাংলাদেশ যদি এই সাত দলের মধ্যে থাকতে না পারে, তাহলে সেই বাছাইপর্ব খেলেই যোগ্যতা অর্জন করতে হবে বিশ্বকাপের জন্য। মোট কথা, সামনে কঠিন পথই অপেক্ষা করে আছে বাংলাদেশের জন্য।
গত বছর আগস্টে স্কটল্যান্ডের এবারডিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ লিগ-২ এর প্রথম সিরিজ। সেটি দিয়েই শুরু হয়েছে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। কেবল সেটিই নয়। মোটকথা, ভারত বাদে বিশ্বকাপের বাকি ৯টি দলকে বেছে নেওয়ার কাজ করবে ওয়ার্ল্ডকাপ ওয়ানডে সুপার লিগ, লিগ-২ আর চ্যালেঞ্জ কাপের মোড়কের শেষ বাছাইপর্বটি। এতে করে মোট ৩২টি দলের বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ থাকছে।
আপাতত বাংলাদেশের পরীক্ষা আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ সুপার লিগ। যেটি আগামী ৩০ জুলাই থেকে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে। অথচ, বাংলাদেশকে দিয়েই এই সুপার লিগ শুরু হতে পারত। করোনাভাইরাসের কারণে গত মে মাসে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি স্থগিত করা হয়। বিশ্বকাপের সুপার লিগের প্রথম সিরিজ হওয়ার কথা ছিল সেটিই।
আইসিসির নতুন এ উদ্যোগটির আদ্যোপান্ত সম্পর্কে এবার একটু জেনে নেওয়া যাক…
কয়টি দল খেলবে
বিশ্বকাপ সুপার লিগে খেলবে মোট ১৩টি দল। ১২টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়া সহযোগী সদস্য দেশ নেদারল্যান্ডস।
যেভাবে খেলা হবে
অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে মোট আটটি সিরিজ খেলতে হবে। চারটি হোম, চারটি অ্যাওয়ে। প্রতিটি সিরিজেই কমপক্ষে তিনটি ওয়ানডে থাকতে হবে। কোনো সিরিজে বেশি ওয়ানডেও থাকতে পারে। কিন্তু সেগুলো বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ হিসেবে গণ্য হবে না। করোনার কারণে বাংলাদেশের একটি সিরিজ ( অ্যাওয়ে) স্থগিত হয়ে আছে। মে মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ তো হয়নি। আগামী ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজটিও সংশয়ের চাদরে মোড়া। ভবিষ্যৎ সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশের সামনে এখন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ, জুনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ, অক্টোবরে (২০২১) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ আছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ আর মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ।
যেভাবে পয়েন্ট পেতে হবে
সব সিরিজেই থাকবে ৩০ পয়েন্ট। প্রতিটি ওয়ানডেতে ১০ পয়েন্ট করে। জিতলে ১০ পয়েন্ট। হারলে শূন্য। টাই হলে বা ম্যাচ পণ্ড হয়ে গেলে ১০ পয়েন্ট সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে দুই দলের মধ্যে।
শুরু হবে যে সিরিজ দিয়ে
আগামী ৩০ জুলাই সাউদাম্পটনের রোজ বোলে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে এই বিশ্বকাপ সুপার লিগ।
পরিবর্তন আসছে কিছু নিয়মে
বিশ্বকাপ সুপার লিগে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসছে খেলার নিয়মে। প্রতি ম্যাচে দুই দলই দুটি করে ডিআরএস ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিটি ফ্রন্ট ফুট নো বলের সিদ্ধান্ত দেবেন টেলিভিশন আম্পায়ার।