মুখোমুখি বসতে চলেছেন দুই পরাশক্তির দুই প্রধান জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিন। আগামী সপ্তাহে জেনেভার ব্রাসেলসে তাদের সাক্ষাৎ নিয়ে এরই মধ্যে প্রতিদিন নতুন নতুন খবর প্রকাশ হচ্ছে। কি আলোচনা হবে তাদের মধ্যে, পুতিনকে কতটা চাপে ফেলতে পারবেন বাইডেন, তার কাছ থেকে কতটা আদায় করতে পারবেন- এসব নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। দুই নেতাও এরই মধ্যে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু এখন দেখার বিষয় তারা কতদূর যান। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস’কে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সাইবার অপরাধীদেরকে পারস্পরিক সমঝোতার ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত তার দেশ। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল রোসিয়া-১ কে তিনি বলেছেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র- দুই দেশকেই এ বিষয়ে সমান প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ নিলে রাশিয়াও স্বাভাবিকভাবেই এটা করবে।
এ ছাড়া রাশিয়ায় অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত আছেন বেশ কিছু ব্যক্তি। তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। পুতিন এসব ব্যক্তিকে তার দেশে ফেরত পাঠানোর শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। বুধবার এই মুখোমুখি বৈঠক হওয়ার কথা এই দুই নেতার। তার আগে নিজের অবস্থান বার বার পরিষ্কার করছেন পুতিন। এর আগে তিনি স্বীকার করেছেন যে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনি¤œ পর্যায়ে এখন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া যদি ক্ষতিকর কোনো পদক্ষেপ নেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও সুদৃঢ় ও অর্থপূর্ণ ব্যবস্থা নেবে। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে কোনো সংঘাত চায় না বলেও তিনি মত দেন। আসন্ন বৈঠক নিয়ে বাইডেন বৃটেনে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে বলেন, পুতিন এর আগে যেসব মন্তব্য করেছেন, তাতে তিনি উৎসাহিত এবং সমঝোতা সম্ভব। তবে তিনি একই সঙ্গে এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন যে এসব সম্ভব, যদি পুতিন তার আচরণ পরিবর্তন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস এই দুই নেতার বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে যেসব সাইবার হামলা হয়েছে, তা নিয়ে দুই নেতার বৈঠকে আলোচনা হবে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে যেসব সাইবার হামলা হয়েছে তার জন্য দায়ী করা হয় রাশিয়াকে। নেড প্রাইস বলেন, ‘রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যে সাইবার হামলা চালানো হয়েছে, সে বিষয়গুলো এর আগেই আমরা উত্থাপন করেছি। হোয়াইট হাউজ থেকে আপনারা শুনেছেন এই দুই নেতা আলোচনায় বসবেন। তখন এ নিয়ে কথা হবে তাদের মধ্যে। তবে হতাশ নন। পুতিন রোসিয়া-১ টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি আশা করছেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আবারও স্বাভাবিক হবে।