কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে কলম্বিয়াকে টাই-ব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা।
প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ এক গোলে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে কলম্বিয়া। ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলে ড্র থাকে দুই দল। ফলে ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ায়। টাইব্রেকারে জিতে ২০১৬ সালের পর আবারও কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠলো আর্জেন্টিনা। টাই-ব্রেকারে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ রুখে দেন তিনটি শট।
আগামী ১১ জুলাই ফাইনালে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্ধী ব্রাজিলের।
মানি গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আর্জেন্টাইনদের আক্রমণাত্মক খেলা। ম্যাচের চার মিনিটের মাথায় গোলের সম্ভাবনা জাগান লিওনেল মেসি। কলম্বিয়ার পেনাল্টি এরিয়ায় তিনজনকে কাটিয়ে বল দেন লুতারো মার্টিনেজকে। তবে হেডে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় বল।
এরপর গোল পেতে আর্জেন্টিনার সময় লেগেছে তিন মিনিট। ৭ মিনিটের মাথায় সেই মেসি-মার্টিনেজ। ডি বক্সে মেসির থেকে পাওয়া পাস জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন মার্টিনেজ।
প্রথমার্ধের বিরতির বাঁশি বাজার আগে আবারও সুযোগ আসে আর্জেন্টাইনদের। ৪৪ মিনিটের মাথায় মেসির করা কর্নার থেকে আসা বলে হেড করেন গঞ্জালেস। কিন্তু কলম্বিয়ার গোল-রক্ষক দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন বল।
বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে দু’দল। একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত থাকতে হয় দু’দলের রক্ষণভাগকে। তবে সমতায় ফেরাতে কলম্বিয়া সময় নেন ১১ মিনিট।৬১ মিনিটের মাথায় গোল পোস্টের খুব কাছে থেকে কোনাকুনি শটে অবিশ্বাস্য এক গোল করে সমতায় ফেরান ম্যাচ। এর থেকেও অবিশ্বাস্য ব্যপার ঘটান ডি মারিয়া। ৭৪ মিনিটের মাথায় ফাঁকা গোল পোস্ট পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। গোল-রক্ষককে কাটিয়ে যখন ফিনিশিং দিবেন ঠিক তখনই খেই হারান মারিয়া।
৮২ মিনিটে আবারও সুযোগ আসে ডি মারিয়ার। কিন্তু ডি-বক্সে জটলা পেকে যাওয়ায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি আলভিসেলেস্তেদের। নির্দিষ্ট সময়ের পর অতিরিক্ত চার মিনিটেও গোল করতে পারেনি কোনও দল। কোপার নিয়ম অনুযায়ী টাই-ব্রেকারে খেলা গড়ালে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় স্বপ্ন ভাঙে কলম্বিয়ার। ৪-২ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে নিশ্চিত করে আলভিসেলেস্তেরা।