1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘাত বৃদ্ধি, মধ্যস্থতায় উদ্যোগী যুক্তরাষ্ট্র সচিবালয়ে ভাতা দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে নন-ক্যাডার কর্মচারীরা মেগা প্রকল্প বন্ধ করে মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগের অঙ্গীকার তারেক রহমানের ইমরান খানের সাক্ষাৎ নিষেধাজ্ঞা ঘিরে আদিয়ালা কারাগারে উত্তেজনা, পুলিশের অভিযান অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার সুরক্ষায় স্থায়ী কাঠামো গঠনের ওপর জোর এসআই আফতাব উদ্দিন রিগানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপের দ্বাদশ বৈঠক শুরু নির্বাচন তফসিল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করছে নির্বাচন কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত আওয়ামী লীগবিষয়ক জনপ্রিয়তা জরিপের নৈতিকতা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের শিগগিরই তলবি নোটিস পাঠাবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের অর্থ আত্মসাৎ, মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি, অনিয়ম ও গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে কমপক্ষে ৩৩৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিং করেছেন বলে তথ্য পেয়েছে কমিশন। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ইভ্যালি থেকে বেশ কিছু নথি জব্দ করা হয়েছে। আরও নথি জব্দের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। দুদক কর্মকর্তারা জানান, ইভ্যালি ডটকমে প্রতারণার শিকার গ্রাহক ও মার্চেন্টরা প্রতিনিয়ত দুদকের হটলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগ জানাচ্ছেন। তারা প্রতারিত হওয়া, পণ্য না পাওয়াসহ নানা ক্ষোভের বিষয়ে অবহিত করছেন। ইভ্যালি থেকে পাওয়া চেকের অর্থ না পেয়েও দুদকে ধরনা দিচ্ছেন বহু মানুষ। দুদক গুরুত্বসহকারে তাদের অভিযোগগুলো রেকর্ড করে অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় যুক্ত করছে। অনুসন্ধান দলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কিছু তথ্য চেয়েছি। ইতিমধ্যে তারা কিছু নথিপত্র দিয়েছেন। আরও নথিপত্র সংগ্রহের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। প্রাপ্ত তথ্যগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পর্যালোচনা শেষে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলবি নোটিস পাঠানো হবে। তারা দুদকে হাজির হলে প্রতারণা, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ দুদকের কর্মকর্তারা জানান, ইভ্যালির নানা অনিয়ম তুলে ধরে ৪ জুলাই দুদকে একটি চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চিঠি পাওয়ার পর কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীকে প্রধান ও সহকারী উপপরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালামকে সদস্য করে অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। দুদক কর্মকর্তারা জানান, অনুসন্ধানে ইভ্যালি গ্রাহকদের থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে কী করেছে তা জানার পাশাপাশি তারা বিদেশে অর্থ পাচার করেছে কি না, করে থাকলে কী পরিমাণ অর্থ কোন দেশে পাচার করেছে সেসব বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে। দুর্নীতি অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আদালতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন ও এমডি মো. রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চায় দুদক। অনুসন্ধান কর্মকর্তার আবেদনের ভিত্তিতে ১৫ জুলাই ঢাকা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এক আদেশে শামীমা নাসরিন ও মো. রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। আদালতে করা আবেদনে দুদক উল্লেখ করে, ‘প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন ও এমডি মো. রাসেল গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা চালাচ্ছেন। অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হবে।’ এ কারণে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়। দুদক কর্মকর্তারা আলাপকালে জানান, চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত ইভ্যালির দায় ছিল ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। গ্রাহকদের থেকে অগ্রিম গ্রহণ করা হয় ২১৪ কোটি টাকা; মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালির বকেয়া রয়েছে ১৯০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে স্বাভাবিক হিসাবে ইভ্যালির কাছে ৪০৪ কোটি টাকার সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির চলতি সম্পদ রয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা, যা দিয়ে তার চলতি দায়ের বিপরীতে মাত্র ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ গ্রাহকের পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক ও মার্চেন্টদের থেকে নেওয়া কমপক্ষে ৩৩৯ কোটি টাকার হদিস দিতে পারছে না। ফলে এসব অর্থ সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ অথবা মানি লন্ডারিংয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইভ্যালি বিভিন্ন গ্রাহক ও মার্চেন্টকে লাখ লাখ টাকার চেক দিয়েছে। এসব চেক ব্যাংকে জমা দিলে ‘বাউন্স’ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিছু ব্যাংক হিসাবে টাকা থাকার পরও ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ স্টপ পেমেন্ট করিয়ে রাখায় ক্যাশ করানো যাচ্ছে না। দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি কিছু গ্রাহক অভিযোগ করেছেন অনলাইনে ইভ্যালির বিভিন্ন গ্রুপে ক্রেতাদের দেওয়া চেক কেটে ভিডিও পাঠানোর ‘টোপ’ দেওয়া হয়। গ্রাহকরা বলেন, ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ গত জানুয়ারি থেকে ‘সাইক্লোন’ নামে একটি অফার দেন। সেখানে মোটরসাইকেল অর্ডার করে এখন পর্যন্ত পণ্য বুঝে পাননি গ্রাহকরা। কিছু গ্রাহককে টাকা ফেরত দিতে আগাম তারিখ উল্লেখ করে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক দেয় ইভ্যালি। এরপর গত মাসে তাদের ফোন করে বলা হয় নির্ধারিত তারিখে চেকগুলো ব্যাংকে জমা না দেওয়ার জন্য। যারা জমা দিয়েছেন তাদের চেক বাউন্স ও স্টপ পেমেন্ট করে দেওয়া হয়। এরপর ইভ্যালি থেকে অনেক গ্রাহককে বলা হয়, ‘চেক কেটে ভিডিও দিন। তাহলে দ্রুত আপনি টাকা পেয়ে যাবেন।’ অনেক গ্রাহক সরল বিশ্বাসে চেক কেটে বিভিন্ন গ্রুপে ভিডিও দেন। তাদের কেউ অর্থ ফেরত পাননি। উপরন্তু তারা যে টাকা পাবেন তারও কোনো প্রমাণ থাকল না। এসব অভিযোগও অনুসন্ধানের জন্য আমলে নিচ্ছে দুদক। দুদকের উপপরিচালক জনসংযোগ আরিফ সাদিক বলেন, ‘গ্রাহকরা দুদকে অভিযোগ না জানিয়ে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ জানাবেন। কেউ দুদকে এলে আমরা সেই পরামর্শই দিচ্ছি। ইভ্যালির অনিয়ম বিষয়ে কমিশন যে অনুসন্ধান দল গঠন করেছে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করছে। অনুসন্ধান প্রতিবেদন পাওয়ার পর কমিশন বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১
  • ১১৮ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের শিগগিরই তলবি নোটিস পাঠাবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের অর্থ আত্মসাৎ, মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি, অনিয়ম ও গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে কমপক্ষে ৩৩৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিং করেছেন বলে তথ্য পেয়েছে কমিশন। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ইভ্যালি থেকে বেশ কিছু নথি জব্দ করা হয়েছে। আরও নথি জব্দের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, ইভ্যালি ডটকমে প্রতারণার শিকার গ্রাহক ও মার্চেন্টরা প্রতিনিয়ত দুদকের হটলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগ জানাচ্ছেন। তারা প্রতারিত হওয়া, পণ্য না পাওয়াসহ নানা ক্ষোভের বিষয়ে অবহিত করছেন। ইভ্যালি থেকে পাওয়া চেকের অর্থ না পেয়েও দুদকে ধরনা দিচ্ছেন বহু মানুষ। দুদক গুরুত্বসহকারে তাদের অভিযোগগুলো রেকর্ড করে অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় যুক্ত করছে।

অনুসন্ধান দলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কিছু তথ্য চেয়েছি। ইতিমধ্যে তারা কিছু নথিপত্র দিয়েছেন। আরও নথিপত্র সংগ্রহের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। প্রাপ্ত তথ্যগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পর্যালোচনা শেষে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলবি নোটিস পাঠানো হবে। তারা দুদকে হাজির হলে প্রতারণা, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

দুদকের কর্মকর্তারা জানান, ইভ্যালির নানা অনিয়ম তুলে ধরে ৪ জুলাই দুদকে একটি চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চিঠি পাওয়ার পর কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীকে প্রধান ও সহকারী উপপরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালামকে সদস্য করে অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। দুদক কর্মকর্তারা জানান, অনুসন্ধানে ইভ্যালি গ্রাহকদের থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে কী করেছে তা জানার পাশাপাশি তারা বিদেশে অর্থ পাচার করেছে কি না, করে থাকলে কী পরিমাণ অর্থ কোন দেশে পাচার করেছে সেসব বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে। দুর্নীতি অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আদালতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন ও এমডি মো. রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চায় দুদক। অনুসন্ধান কর্মকর্তার আবেদনের ভিত্তিতে ১৫ জুলাই ঢাকা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এক আদেশে শামীমা নাসরিন ও মো. রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।

আদালতে করা আবেদনে দুদক উল্লেখ করে, ‘প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন ও এমডি মো. রাসেল গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা চালাচ্ছেন। অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হবে।’ এ কারণে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।

দুদক কর্মকর্তারা আলাপকালে জানান, চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত ইভ্যালির দায় ছিল ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। গ্রাহকদের থেকে অগ্রিম গ্রহণ করা হয় ২১৪ কোটি টাকা; মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালির বকেয়া রয়েছে ১৯০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে স্বাভাবিক হিসাবে ইভ্যালির কাছে ৪০৪ কোটি টাকার সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির চলতি সম্পদ রয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা, যা দিয়ে তার চলতি দায়ের বিপরীতে মাত্র ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ গ্রাহকের পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক ও মার্চেন্টদের থেকে নেওয়া কমপক্ষে ৩৩৯ কোটি টাকার হদিস দিতে পারছে না। ফলে এসব অর্থ সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ অথবা মানি লন্ডারিংয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইভ্যালি বিভিন্ন গ্রাহক ও মার্চেন্টকে লাখ লাখ টাকার চেক দিয়েছে। এসব চেক ব্যাংকে জমা দিলে ‘বাউন্স’ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিছু ব্যাংক হিসাবে টাকা থাকার পরও ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ স্টপ পেমেন্ট করিয়ে রাখায় ক্যাশ করানো যাচ্ছে না। দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি কিছু গ্রাহক অভিযোগ করেছেন অনলাইনে ইভ্যালির বিভিন্ন গ্রুপে ক্রেতাদের দেওয়া চেক কেটে ভিডিও পাঠানোর ‘টোপ’ দেওয়া হয়। গ্রাহকরা বলেন, ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ গত জানুয়ারি থেকে ‘সাইক্লোন’ নামে একটি অফার দেন। সেখানে মোটরসাইকেল অর্ডার করে এখন পর্যন্ত পণ্য বুঝে পাননি গ্রাহকরা। কিছু গ্রাহককে টাকা ফেরত দিতে আগাম তারিখ উল্লেখ করে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক দেয় ইভ্যালি। এরপর গত মাসে তাদের ফোন করে বলা হয় নির্ধারিত তারিখে চেকগুলো ব্যাংকে জমা না দেওয়ার জন্য। যারা জমা দিয়েছেন তাদের চেক বাউন্স ও স্টপ পেমেন্ট করে দেওয়া হয়। এরপর ইভ্যালি থেকে অনেক গ্রাহককে বলা হয়, ‘চেক কেটে ভিডিও দিন। তাহলে দ্রুত আপনি টাকা পেয়ে যাবেন।’ অনেক গ্রাহক সরল বিশ্বাসে চেক কেটে বিভিন্ন গ্রুপে ভিডিও দেন। তাদের কেউ অর্থ ফেরত পাননি। উপরন্তু তারা যে টাকা পাবেন তারও কোনো প্রমাণ থাকল না। এসব অভিযোগও অনুসন্ধানের জন্য আমলে নিচ্ছে দুদক।

দুদকের উপপরিচালক জনসংযোগ আরিফ সাদিক বলেন, ‘গ্রাহকরা দুদকে অভিযোগ না জানিয়ে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ জানাবেন। কেউ দুদকে এলে আমরা সেই পরামর্শই দিচ্ছি। ইভ্যালির অনিয়ম বিষয়ে কমিশন যে অনুসন্ধান দল গঠন করেছে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করছে। অনুসন্ধান প্রতিবেদন পাওয়ার পর কমিশন বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com