বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। শনিবার (১৩ অক্টোবর) গুলশানের বাসভবন থেকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তিনি।
চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আবারও শারীরিক বেশ কিছু জটিলতা দেখা যাচ্ছে, তাই দলের চেয়ারপার্সনকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ হাসপতালের যাবেন তিনি।
এর আগে ২৭ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর ৭ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, দাত, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যেই গত এপ্রিলে তিনি করোনায় সংক্রমিত হন। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় কয়েক দফা তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে করোনার টিকা নিতে তিনি দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান।
চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ও দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, আবারও বেশ কদিনের জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে খালেদা জিয়াকে। শারীরিক প্যারামিটারগুলো ‘অস্বাভাবিক’ আসায় তাকে নিবিড় চিকিৎসাধীন থাকতে হবে। কিছুটা সুস্থবোধ করায় ৭ নভেম্বর বাসায় ফিরলেও হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়টি চিকিৎসকদের পরিকল্পনাতেই ছিলো বলে জানিয়েছে সূত্রটি। তাই এবার বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হবে খালেদা জিয়াকে।
সূত্র আরও জানায়, আজ খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ব্রিফ করা হতে পারে।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হলে খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত চার দফায় তার মুক্তির সময় বৃদ্ধি করা হয়। যদিও বিএনপির নেতারা এ সাময়িক মুক্তিকে ‘গৃহবন্দী’ বলছেন। খালেদা জিয়ার পরিবার ও দল তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছে।