1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল, শপথ অনুষ্ঠান ‘স্লো’ নির্দেশ তারেকের প্রত্যাবর্তনে লালমনিরহাটে ট্রেন অবরোধ, যাত্রীরা ভোগান্তিতে দেশ ট্রানজিশনে, বিএনপি মহাসচিবের নির্বাচন ও পরিবর্তনকালীন মন্তব্য আইন সবার জন্য সমান, নির্বাচনে কোনো ছাড় নেই—সিইসি বার্তা একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘিরে উপদেষ্টা পরিষদে রদবদলের আলোচনা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরিবর্তনের সম্ভাবনা আইনের শাসন নিশ্চিত করেই গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব: সিইসি নাসির উদ্দিন ৭ ঘণ্টায় ১২ লাখ টাকার তহবিল পেল এনসিপি গণমাধ্যমে আক্রমণ অগনতান্ত্রিক ভাবে ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত হাদি, হাসনাতও ব্যারিস্টার ফুয়াদের আইনজীবী নাজিরুল কবিরের সঙ্গে সম্পর্কের ছবি ভাইরাল, উঠেছে প্রশ্ন

কথিত পীরের বিরুদ্ধে নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৪১ বার দেখা হয়েছে

গাজীপুর প্রতিনিধি :

গাজীপুরের কোনাবাড়ি আমবাগ এলাকায় কথিত পীর কর্তৃক নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা দায়ের করার পর পীরের সহযোগী সাগর আলীকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত কথিত পীর মাসুদ মিয়া (৫০) এখনো পলাতক রয়েছেন। এ খবর নিশ্চিত করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানা পুলিশ।

জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত সাগর গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি আমবাগ মিতালী ক্লাব উত্তরপাড়া এলাকার মৃত মেহের আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ৭-এর আমবাগ অফিসের নৈশ্যপ্রহরী (চৌকিদার) হিসেবে চাকরি করেন। অভিযুক্ত পীর মাসুদ টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার সাফর্তা গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকার মাসুদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি পীর পরিচয়ে ও তার সহযোগী সাগর বিভিন্ন ধরনের ঝাড়ফুঁক দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে মানুষকে তালিমও দেন। ওই পীরের কাছে তালিম নেওয়ার জন্য যান স্থানীয় এক নারী। গত ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পীরের সহযোগী সাগর ওই নারীকে তালিম নেওয়ার জন্য তার বাসায় ডাকেন। পরে খবর পেয়ে ওই দুই সন্তানকে বাসায় রেখে তার স্বামীকে নিয়ে ভিকটিম নারী সহযোগী সাগরের বাসায় যান। যাওয়ার পর থেকেই ভিন্ন ধরনের হাদিসের বাণীসহ পীরের সবক শুনাতে থাকেন। পরে রাত ১১টার দিকে পীর মাসুদের সহযোগী সাগর ওই ভিকটিম নারীকে একটি পান খেতে দেন এবং তার স্বামীকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠান। পান খাওয়ার পর ভিকটিম ওই নারী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় পীরের সহযোগী সাগর মিতালী ক্লাব এলাকায় তার নিজ বাড়ির উত্তর দুয়ারী আধপাকা ঘরের চৌকিতে নিয়ে ভিকটিম নারীকে শুয়ে রাখেন পীর বাবার জন্য। কিছুক্ষণ পর পীর বাবা গিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করতে থাকেন। ভিকটিম নারীর স্বামী দোকান থেকে ফিরে বিষয়টি বুঝতে পেরে চিৎকার করতে শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এ সময় সহযোগী সাগর ভিকটিমের স্বামীকে চুপ থাকতে বলে পীর মাসুদকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানার ওসি আবু সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলা দায়েরের পর পীরের সহযোগী সাগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত পীর পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। বুধবার গ্রেফতারকৃত সাগরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com