দেশের সর্ব বৃহত্তম গণকর্মচারী সংগঠন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের ১০ম জাতীয় প্রতিনিধি পরিষদ সম্মেলন ও দেশের নি¤œ আয়ের কর্মচারীদের একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতির ২০তম জাতীয় প্রতিনিধি পর্ষদ সম্মেলন এবং ৭২তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান অদ্য ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ইং তারিখ রোজ শনিবার সংগঠনের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয় ২৩৪ নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি-১ এবং বাচসকস সভাপতি এম.এ হান্নানের সভাপতিত্বে করোনা মহামারীর কারণে সরকারি বিধি-নিষেধ অনুসরণপূর্বক অনলাইন ভিত্তিক জুম-ভার্চুয়াল এ্যাপ এর মাধ্যমে সরাসরি দেশ ও বিদেশে অনুষ্ঠানটি একযোগে সম্প্রচার করা হয়। জুম-ভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাচসকস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সমন্বয় পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান পৃষ্ঠপোষক মরহুম আব্দুল আজিজের একমাত্র ছেলে সংগঠনের সম্মানিত উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান।
জুম-ভার্চুয়াল সম্মেলনে বাচসকস এর সাধারণ সম্পাদক ও সমন্বয় পরিষদের কার্যকরী সভাপতি মোঃ সেলিম ভূঁইয়া অনলাইন ভিত্তিক জুম-ভার্চুয়াল অ্যাপের মাধ্যমে স্বাগত বক্তব্য এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন।
সভায় বিভিন্ন দেশের ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাসকসপ সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল কাদের ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মনির আহম্মেদ, সহ-সভাপতি আম্বিয়া বেগম পলি, মোফাফফর হোসেন বাবুল, সামসুল হক সুজন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোজাম্মেল হক, মোঃ আজিম, মোঃ মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, মোঃ লোকমান হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব, শিকদার মাহবুব হোসেন, প্রচার সম্পাদক খন্দকার আক্কাস, মোঃ মরণ চাঁন, আব্দুল জব্বার, মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, ইব্রাহীম খলিল সোহাগ, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ ওজিউল্লাহ, সহ-মহিলা সম্পাদিকা রাজিয়া সুলতানা, আমেনা খাতুন, নির্বাহী সদস্য মোঃ হুমায়ুন কবির, কামরুল ইসলাম, মোঃ হাফিজউল্লাহসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আঞ্চলিক ও দপ্তর কমিটির নেতৃবৃন্দ। তাছাড়া সরাসরি জেলা নেতৃবৃন্দগণ অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন। সভায় নি¤েœাক্ত দাবীসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানানো হয়:
দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতির কারণে নি¤œ আয়ের সরকারি কর্মচারীদের ৪০% মহার্ঘভাতা প্রদান, ৯ম জাতীয় পে-কমিশন গঠন, আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রথা বাতিল ও প্রকল্পে নিয়োজিত সকল জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, পুলিশের ন্যায় রেশন প্রদানসহ যৌক্তিক হারে বাড়ী ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা ভাতা, যাতায়াত ভাতা, টিফিন ভাতা, ধোলাই ভাতা পুনঃনির্ধারণ, পূর্বের ন্যায় পেনশন ভোগীদের ১০০ ভাগ পেনশন সুবিধাসহ গ্র্যাচুইটির হার ১ ঃ ৫০০ টাকায় উন্নীতকরণ এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনঃর্বহাল, পাহাড়ী এলাকায় পাহাড়ী ভাতা পূর্বের ন্যায় বহাল ও হাসপাতালসহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ঝুঁকি ভাতা প্রদান করা, চতুর্থ শ্রেণী সরকারি কর্মচারীদের সাজ-পোষাকের টাকা বেতনের সাথে প্রদান এবং সুদ মুক্ত গৃহঋণ প্রদানসহ চতুর্থ শ্রেণী সমিতির ১০ (দশ) দফা ও সমন্বয় পরিষদের ০৫ (পাঁচ) দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য জাতির জনকের সুযোগ্য কণ্যা, মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উপরোক্ত দাবি সমূহ দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের নিমিত্ত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
একই সাথে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের ১৫ (পনের) সদস্য বিশিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক একটি নীতি নির্ধারণী কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত নীতি নির্ধারণী কমিটি কর্তৃক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি হিসেবে এম.এ হান্নান এর নাম সমন্বয় পরিষদের সম্মানিত উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান কর্তৃক ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে স্থায়ী কমিটি কর্তৃক আগামী ০১ (এক) মাসের মধ্যে মহাসচিবসহ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী গঠন করা হবে।