1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হঠাৎ অসুস্থ শহীদ শরীফ ওসমান হাদির মরদেহ পৌঁছেছে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জড়ো হচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ শরীফ ওসমান হাদির দাফন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে শহীদ ওসমান হাদির জানাজার নামাজ পরিচালনা করবেন হাদির বড় ভাই আবু বকর ময়মনসিংহে গণপিটুনিতে নিহত যুবকের ঘটনায় র‍্যাব গ্রেপ্তার সাতজন উৎপাদন-বণ্টন চুক্তি (পিএসসি)-২০২৫ পুনঃপর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ট্রাফিক নির্দেশনা জারি হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ, স্বাধীন তদন্তের আহ্বান শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগ, বিএনপির উদ্বেগ

তেলের সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ল পেঁয়াজ-রসুনের দাম

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৬ মে, ২০২২
  • ৩৯৫ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আবারও বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুন-ডিমের দাম। যেন তেলের সাথে তাল মিলিয়ে এ দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে পাঁচ থেকে ১০ টাকা। তেলের সাথে পাল্লা দিয়ে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে দেশি রসুনের দাম। রসুন দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ডিমও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। এ ছাড়া বাজারে সয়াবিন তেলের স্বাভাবিক সরবরাহ থাকলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

এসব পণ্য কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের। তাছাড়া বাজারে কিছু সবজির দাম কমেছে, আবার দাম বাড়ার তালিকায়ও রয়েছে কিছু সবজি। অন্যদিকে রোজায় দাম বেড়ে ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া গরুর মাংস এখনো একই দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে কমতির দিকে রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা দেশি রসুনের কেজি বিক্রি করছেন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, যা একদিন আগেই ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কয়েকদিন আগে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আমদানি করা রসুনের দাম বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা হয়েছে। এদিকে রসুনের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। ঈদের আগে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম ঈদের পর কয়েক দফা বেড়ে এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস আগের দামেই বিক্রি হলেও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ঈদের আগে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মুরগির দাম কমে এখন ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি মুরগির কেজি আগের মতোই ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে এখন ভোজ্যতেলের সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও দাম কমেনি। খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। পাম অয়েলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা। আর বোতলের পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৮০ থেকে ৯৮৫ টাকা।

রসুনের দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ী শফিকুল মিয়া জানান, এখন বাজারে দেশি রসুনের সরবরাহ অনেক কম। এ কারণে দেশি রসুনের দাম
বেড়েছে গেছে। এই পরিস্থিতি থাকলে সামনে রসুনের দাম আরও বাড়তে পারে। ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। এসব কারণে দাম বাড়ছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতো ব্যবসায়ীরা বেগুনের কেজি বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৭০ টাকা। শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বরবটিও আগের মতো ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে পাকা টমেটোর দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ঈদের আগে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া টমেটো এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার এ তালিকায় রয়েছে কাঁচা কলা ও পেঁপে। ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া পেঁপে এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় ঠেকেছে।

আর ৩০ টাকার কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। অন্যদিকে, পটোল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার দাম কিছুটা কমেছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঢেঁড়সের দাম কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকা হয়েছে। ঝিঙে ও চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের এক দোকানি বলেন, ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙে, চিচিঙ্গার সরবরাহ বাড়ায় এগুলোর দাম কমেছে। আর পাকা টমেটোর সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে। এখন দিন যত যাবে পাকা টমেটোর দাম বাড়বে। কয়েকদিনের মধ্যে পাকা টমেটোর কেজি একশ টাকা হয়তো যেতে পারে। এদিকে ঈদের আগেই খুচরায় সয়াবিন তেলের কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। সেই সাথে বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ প্রায় নাই হয়ে যায়।

পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়, এতে বাজারে সয়াবিন তেল আসতে শুরু করে। দাম বাড়ানোর পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে অভিযান। এতে মজুত থাকা বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল জব্দ করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে বাজারে এখন ভোজ্যতেলের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। তবে দাম কমেনি। খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। পাম অয়েলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা। আর বোতলের পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৮০ থেকে ৯৮৫ টাকা।

সয়াবিন তেলের দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, সয়াবিন ও পাম অয়েলের যে দাম বেড়েছে তা আর কমবে বলে মনে হয় না। তবে কয়েকদিন আগে বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছি না। সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। এখন তেলের সরবরাহ অনেকটাই স্বাভাবিক।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com