অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফে আক্রমণ ও বল দখলে এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি গোলও করতে পারেনি। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এদিন নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। তাতে দুই দলেরই ফাইনালে খেলার আশা ভালোভাবেই টিকে রইল। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আর ভুটানকে ১২-০ গোলে উড়িয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছিল ভারত। দুই ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে শীর্ষে ভারত এবং দুয়ে বাংলাদেশ।
৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেপাল। দুই ম্যাচই হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত ভুটানের। আগামী মঙ্গলবার রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভুটান এবং নেপাল খেলবে ভারতের বিপক্ষে। ওই দিন জিতলে বা ড্র করলেই ফাইনাল নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। বেশ গোছানো ফুটবল খেলা ভারত প্রথমার্ধে বাংলাদেশকে চাপে রাখে। তবে পোস্টের নিচে বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে ছিলেন রুপনা চাকমা। সপ্তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ধরে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন সুমতি কুমারী।
ভারতের এই ফরোয়ার্ডের শট দারুণভাবে পা বাড়িয়ে আটকে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক। সাত মিনিট পর কর্নার থেকে সুনিতা মুন্ডার ফ্লিক হেডও আটকে দলের ত্রাতা তিনি। ৩০তম মিনিটে ভারত জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। এর দুই মিনিট পর বাংলাদেশ প্রথমার্ধে উল্লেখ করার মতো আক্রমণ শাণায়। তবে কর্নারে সুরমা জান্নাতের সাইড ভলি যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। নেপাল ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষ দিকে মাথায় চোট পেয়েছিলেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। ভারত ম্যাচে অধিনায়কের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল।
মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ সোহাগী-স্বপ্নাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকায় বলের জোগান পাননি শামসুন্নাহার। তাই প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককের কোনো পরীক্ষা নিতে পারেননি। ৬২তম মিনিটে আড়াআড়ি ক্রসে বক্সের ভেতর থেকে প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা নেহার শট অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৭৯তম মিনিটে স্বপ্না রানীর কর্নারে ফাঁকায় থাকা শামসুন্নাহারের শট চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে বেশ কয়েকবার সুযোগ তৈরি করেন শামসুন্নাহার; কিন্তু নিখুঁত ফিনিশিং করতে না পারায় পাননি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা।