‘র্যাপিড ক্যাশ’। স্মার্ট ফোনের একটি অ্যাপস। এই অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে সহজে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে আসছিল। চক্রের মূলহোতা দুই চীনা নাগরিক। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিত। অ্যাপসে পাঁচ শো থেকে কয়েক হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হত। পরবর্তীতে উচ্চ সুদে সেই টাকা আদায় করা হত। টাকা দিতে স্বীকার করলে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ ও আপত্তিকর ছবি বিভিন্ন জনকে পাঠানোর হুমকি দিত। এভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি।
সম্প্রতি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় এক ভুক্তভোগী চক্রের হাতে প্রতারিত হয়ে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে মামলা তদন্তে চক্রটির সন্ধান পায় এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিউ)। মঙ্গলবার (১৬ মে) রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ রোডের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কল সেন্টারটির পরিচালক মহিউদ্দিন মাহিসহ ২৬ জনকে আটক করেছে এটিউ’র সাইবার ক্রাইম ইউং। তবে এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড দুই চীনা নাগরিককে পাওয়া যায় নি।
বুধবার (১৭ মে) দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় এটিউর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সাইবার ক্রাইম উইং’র পুলিশ সুপার (এসপি) ফারহানা ইয়াসমিন।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ঋণ নেওয়ার জন্য অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীর সমস্ত কন্টাক্ট নম্বর, গ্যালারির তথ্য, ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয়।চক্রটির সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করা মহিউদ্দিন মাহি চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর পড়াশোনা করেছে। সে ভালো চীনা ভাষা বলতে পারে। এই সুযোগে তারা এই প্রতারণাটি করে আসছিল। বাংলাদেশে বসে তারা প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকদের একই ভাবে লোন দিয়ে প্রতারণা করত। তারা মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে টাকা আদায় করত।
বিস্তারিত
s