ডেঙ্গুজ্বরের থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৪৬০ জনের বেশি মানুষ। এডিস মশার মরণকামড়ে প্রিয়জন হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে অসংখ্য পরিবার। দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে এ বছর। মৌসুম শেষেও আগ্রাসি ডেঙ্গু। রাজনৈতিক ডামাডোলে নীরবে থাবা বসাচ্ছে ডেঙ্গু।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, বাংলাদেশের ডেঙ্গু ইতিহাসের রেকর্ড ভেঙে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চতে পৌঁছেছে। বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট প্রায় ৮৫৩ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল আর এ বছর দুর্ভাগ্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৬০ জনের। সরকারি হিসাবের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। ঢাকা শহর ছাড়িয়ে ডেঙ্গু এখন দেশের ৬৪ জেলায় শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। শহরের বাইরে গ্রামাঞ্চলের ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। দেশের বিভিন্ন গ্রামে ডেঙ্গুর বাহক নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে যে ফলাফল পেয়েছি তাতে একটি গ্রাম্য প্রবাদের কথা মনে পড়ে যায় ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা ওষুধ দেব কোথা’। আমার মাঠ পর্যায়ের গবেষণা ফলাফল বলছে ডেঙ্গু নিয়েই বসবাস করতে হবে আমাদের। যতদিন পর্যন্ত ডেঙ্গু টিকা সবার মধ্যে আমরা দিতে না পারব ততদিন ডেঙ্গু থেকে মুক্তি মেলা কঠিন। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোকে (ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পরিষদ ও পৌরসভা) মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য যুগোপযোগী করে তৈরি করতে হবে। তাদের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষণ কীটনাশক এবং কীটনাশক প্রয়োগের ফগিং মেশিন এবং স্প্রে মেশিন সরবরাহ করতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিতে হবে।বিস্তারিত