গাজীপুরে রেলপথে নাশকতার আগে ১১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়ার টাংকিরপাড়ের বাসায় গোপন বৈঠক হয়। সেখানে বিএনপিপন্থি একাধিক কাউন্সিলরসহ ২৮ জন উপস্থিত থাকার তথ্য পেয়েছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর মধ্যে ছয়জন ছিলেন আইনজীবী। ওই বৈঠকেই কে কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
শ্রীপুরের ভাওয়ালগড়ের বনখড়িয়া এলাকায় রেলপথে নাশকতায় ঘটনার জড়িত সাতজনকে গত শনিবার গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজন রোববার আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা হলেন– মহানগর বিএনপির সদস্য ও আজিম উদ্দিন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সদস্য শাহানুর আলম, মেহেদী হাসান ও জান্নাতুল ইসলাম। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে রেল ঘিরে নাশকতার বড় পরিকল্পনা ও বৈঠকে যারা ছিলেন, তাদের নাম-পরিচয় উঠে এসেছে।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ১১ ডিসেম্বর রাতে কাউন্সিলর হাসানের বাসার ওই পরিকল্পনা বৈঠকে ছিলেন আইনজীবী মেহেদী হাসান এলিস, আব্দুস সালাম, মনির, সাইদুল, নাসির ও কৌশিক। তারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আরও ছিলেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ শাহীন আলম, সাইফুল ইসলাম টুটুল, অটোরিকশা ব্যবসায়ী নজরুল, মৎস্য খামারি বুলবুল, জয়নুদ্দিন, ব্যবসায়ী আসাদ সরকার, লিটন, পারভেজ, আইনুদ্দিন, বিল্লাল, রশিদ ও আক্তার তালুকদার।
তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈঠকে থাকা আইনজীবীদের কেউ কেউ বিএনপি নেতাকর্মীর মামলা আদালতে পরিচালনা করে আসছেন। নাশকতার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আইনজীবীসহ যাদের নাম আসছে, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। বিস্তারিত