জেলা প্রতিনিধি
ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকালে দেওয়া পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে এবং দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
গত রাতের তাপমাত্রা রাজধানীতে সর্বনিম্ন ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২০ ঘণ্টার সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সারা দেশের আবহাওয়া আংশিক মেঘলা থাকলেও প্রধানত শুষ্ক থাকবে। ভোরের দিকে দেশের কিছু অঞ্চলে হালকা কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া বাতাসের দিক ও গতিবেগ অনুযায়ী সামান্য ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে।
রাজধানীতে শীতকালীন পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, আংশিক মেঘলা আকাশ ও শুষ্ক আবহাওয়া শীতকালীন দিনের সাধারণ চিত্রের অংশ। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকায় শহরের জনগণ কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবে।
দেশব্যাপী আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি কৃষি, পরিবহন ও দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক প্রভাব ফেলতে পারে। শীতের সময় তাপমাত্রা বেশি না বাড়ায় কৃষি কার্যক্রমে অতিরিক্ত জলীয় ক্ষতি বা তাপজনিত সমস্যার আশঙ্কা কম থাকে।
আগামী কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক থেকে আংশিক মেঘলা থাকবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় ভোরের দিকে কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা থাকায় যাত্রীরা সতর্ক থাকতে হবে। তাপমাত্রার সামান্য পরিবর্তন স্বাস্থ্যগত কোনো গুরুতর প্রভাব সৃষ্টি না করলেও শীতকালীন রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
সার্বিকভাবে, ঢাকাসহ দেশের আকাশ আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকলেও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে হাওয়া প্রবাহিত হওয়ার কারণে শহরের তাপমাত্রা সামান্য কম অনুভূত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ভোর ও রাতের সময় আর্দ্রতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকায় শীতজনিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা প্রয়োজন।