সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকালও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে হামলা-পাল্টা হামলা ও এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। দিনভর এসব সংঘর্ষে পুলিশবক্সে আগুন, আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ, আবাসিক হলে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় দুজন, চট্টগ্রামে তিনজন ও রংপুরে একজন রয়েছেন। সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় পরপর সাতটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। দুপুরের পর ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে আরও কয়েক শ মানুষ আহত হয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের এসব সংঘর্ষ ঘটে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকার প্রবেশপথগুলোর সড়ক অবরোধ করে রাখেন কোটা আন্দোলনকারীরা। মহাসড়কগুলোকে ব্যারিকেড দিলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিমানযাত্রীরা এদিন সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারেননি। যে কারণে বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, সায়েন্সল্যাব, চানখাঁরপুল, মহাখালী ও মিরপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ ছাড়া নাবিস্কো মোড়, ফার্মগেট, উত্তরার জসীমউদ্দীন মোড়, জমজম টাওয়ার মোড়, কুড়িল বিশ্বরোড, ভাটারার যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের রোড, নতুন বাজার মোড়, মেরুল বাড্ডা, বনানী, গাবতলী, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪, মাটিকাটা মোড়, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, মোহাম্মদপুর, শান্তিনগর, মতিঝিল, শনিরআখড়াসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা মৈত্রী এক্সপ্রেস গাজীপুরে আটকে দেওয়া হয়। এ ছাড়া মহাখালীতেও আরেকটি ট্রেন আটকে দেওয়া হয়।বিস্তারিত