দেশের শেয়ারবাজারে এক কার্যদিবস কিছুটা দাম বাড়ার পর আবার অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমেছে। এর ফলে সার্বিক শেয়ারবাজারে দরপতন দেখা দিয়েছে এবং লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-এ ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতের শেয়ার দাম কমে, যা সবকটি মূল্যসূচকের পতনে পরিণত হয়। লেনদেনের গতি কমে যাওয়ার পাশাপাশি বাজারের অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়।
ডিএসইতে রোববারের লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বাড়লেও, প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষে ব্যাংক খাতের শেয়ার দাম কমতে থাকে। এর ফলে, ব্যাংক কোম্পানির শেয়ার দাম কমানোর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্যান্য খাতেও, ফলে দাম কমানোর তালিকা বড় হয়ে যায় এবং সবকটি মূল্যসূচক কমে যায়।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ৫,১২৬ পয়েন্ট এ নেমে গেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১,৯৮৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১,০৮৩ পয়েন্ট এ অবস্থান করেছে।
ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের ৪৬৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা থেকে ৭ কোটি ৫ লাখ টাকা কম। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা আগের দিন ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ছিল।
ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ছিল শীর্ষে, যার মোট লেনদেন ছিল ১৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে ছিল প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার। তৃতীয় স্থানে ছিল ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, যার লেনদেন হয় ১৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রবি, সিটি ব্যাংক, সোনালী পেপার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এবং ওরিয়ন ইনফিউশন ছিল।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) তেও মূল্যসূচক পতন হয়েছে। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৪ পয়েন্ট কমে ৩৭,৬৮০ পয়েন্ট এ নেমে গেছে। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে, ৯২টির শেয়ার দাম কমেছে এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অথচ, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ার পর বাজারে উত্থান দেখা গিয়েছিল। কিন্তু রোববার থেকে ব্যাংক খাতের শেয়ারের দাম কমতে থাকলে শেয়ারবাজারের পুরো পরিস্থিতি নেতিবাচক হয়ে পড়ে। এ অবস্থা যদি অব্যাহত থাকে, তবে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।
এদিকে, বিনিয়োগকারীদের মাঝে হতাশা বাড়ানোর পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা আরও প্রকট হতে পারে।