আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজ সিরিজ-এর প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স খেলা থেকে ছিটকে গেছেন। পিঠের ইনজুরি-র কারণে কামিন্সকে এই ম্যাচে দেখা যাবে না। এর ফলে, ইংল্যান্ড-এর বিপক্ষে পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দেবেন স্টিভেন স্মিথ, যিনি গত কয়েক বছর ধরে কামিন্সের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
প্যাট কামিন্সের পিঠের নিচের অংশে ব্যথা অনুভূত হওয়ার পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) জানায় যে, তিনি পার্থ টেস্টে অংশ নিতে পারবেন না। তবে, কামিন্সের ফিট হয়ে ব্রিসবেনে ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে ফিরে আসার আশা করা হচ্ছে।
৩২ বছর বয়সী এই পেসার দীর্ঘদিন ধরে পিঠের ইনজুরির সাথে লড়াই করছেন। তার এই ইনজুরি জুলাইয়ে শুরু হয়, যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ধবলধোলাইয়ের পর তিনি সঠিকভাবে বোলিং করতে পারেননি। তার পিঠের নিচের হাড়ে ফের ব্যথা অনুভূত হলে তিনি বোলিংয়ের জন্য প্রস্তুত হতে পারেননি।
প্যাট কামিন্স এর পিঠের ইনজুরি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সঙ্গী হয়ে রয়েছে। এমনকি প্রথম টেস্ট খেলার পর প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর তিনি দীর্ঘ সংস্করণের ম্যাচে অংশ নিতে পারেননি। তবে, ফিটনেসে কামিন্স সবসময়ই অসাধারণ ছিলেন, এবং তার অনুপস্থিতিতে স্টিভেন স্মিথ অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্বে সফলভাবে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২১ সালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর কামিন্সের জায়গায় স্মিথ অধিনায়কত্ব করেন এবং সেই সময় স্মিথ ৬ টেস্টের মধ্যে ৫টি জয় নিশ্চিত করেন, এর মধ্যে ছিল ২০২১-২২ অ্যাশেজ সিরিজ।
প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে স্কট বোলান্ড অস্ট্রেলিয়ার একাদশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। বোলান্ড, যিনি সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে হ্যাটট্রিক করেছেন, কামিন্সের ইনজুরি থেকে ডাকা পেসার হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছেন। তার উপস্থিতি অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য অতিরিক্ত শক্তি হয়ে উঠতে পারে। বোলান্ড প্রতিবারই কোনো পেসারের ইনজুরিতে সুযোগ পেয়ে তার পুরো সক্ষমতা দেখিয়েছেন এবং প্রতিবারই সফল হয়েছেন।
প্রথম টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাওয়া শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচের পরে। যদিও কামিন্স প্রথম টেস্টে খেলতে পারবেন না, তবে তিনি স্কোয়াডের সাথে ভ্রমণ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে, কামিন্স দল থেকে আলাদা না হয়ে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দলের সঙ্গে থাকবেন।
অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য কামিন্সের অনুপস্থিতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও, স্মিথের নেতৃত্বে দল প্রস্তুত থাকতে পারে। কামিন্সের ফিট হয়ে ফিরে আসা দলের জন্য একটি ইতিবাচক দিক হতে পারে। তবে, তার ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা এবং মাঠে ফিরে আসার জন্য আরও কিছু সময় প্রয়োজন হতে পারে।
এই মুহূর্তে, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড-এর মধ্যকার অ্যাশেজ সিরিজ আরও উত্তেজনাপূর্ণ হতে চলেছে, এবং কামিন্সের অনুপস্থিতি কোনোভাবেই সিরিজের উত্তেজনা কমাবে না বলে আশা করা হচ্ছে।