বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটি (পিএইচএ) এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মাধ্যমে হালাল পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি এবং মান নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করা হবে।হালাল পণ্য রপ্তানি সহজতর করা:
বিএসটিআই অনুমোদিত হালাল পণ্যগুলি পাকিস্তানে রপ্তানি করা যাবে, যেখানে পাকিস্তানের পিএইচএ সনদ থাকলে, সেই পণ্য বিনা পরীক্ষণে পাকিস্তানে প্রবেশ করবে।
একইভাবে, পাকিস্তানের পিএইচএ সনদ থাকা পণ্যগুলি বাংলাদেশে বিনা পরীক্ষণে প্রবেশ করতে পারবে।
এই সমঝোতা স্মারক দুই দেশের মধ্যে হালাল পণ্যের বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা করবে এবং দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।
এই সমঝোতা স্মারকটি শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (JEC) ৯ম বৈঠকে স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক।
চুক্তিতে বিএসটিআই এবং পিএইচএ উভয় পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে স্বাক্ষর করেন, মাকসুরা নূর (অতিরিক্ত সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়) এবং ইমরান হায়দার (পাকিস্তান হাই কমিশনার, বাংলাদেশ)।
বাণিজ্য বৃদ্ধি: এই চুক্তির ফলে উভয় দেশের মধ্যে হালাল পণ্যের বাণিজ্য সহজ হবে, যার ফলে রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
যত্নশীল নিয়ন্ত্রণ: বিএসটিআই এবং পিএইচএ উভয় দেশের হালাল সনদ প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করবে, যা পণ্যের মান নিশ্চিত করবে।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “এটি আমাদের সম্পর্ক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, এবং সার্ক এর পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”
আলী পারভেজ মালিক উল্লেখ করেন, “এটি আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে।”
এই সমঝোতা স্মারক দুটি দেশের মধ্যে হালাল পণ্য রপ্তানি এর উন্নতির পাশাপাশি দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের হালাল পণ্যের রপ্তানি আন্তর্জাতিক বাজারে আরও উন্নত হবে এবং পাকিস্তানের জন্যও নতুন বাজারের দ্বার উন্মুক্ত হবে।
এই সমঝোতা স্মারককে টেকসই বাণিজ্য এবং মান নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।