1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
অতীত সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল :সালাহউদ্দিন আহমদ সেতুর নাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হামলা, পণ্ড হলো আয়োজন ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে ৯১৬ জনের মৃত্যু, ২৭৪ জন নিখোঁজ গোয়ার বাগা বিচে নাইটক্লাবের অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু, তদন্ত শুরু সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় লাহোর শীর্ষে, ঢাকার অবস্থান তৃতীয় খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত জুলাই–আগস্ট আন্দোলন: কুষ্টিয়ায় ছয় হত্যাসহ আট অভিযোগে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সাক্ষ্যগ্রহণ আজ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

আর্জেন্টিনায় প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের দলের বড় জয়: রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৬ বার দেখা হয়েছে

আর্জেন্টিনার পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেইয়ের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল লা লিবেরটাদ অ্যাভেঞ্জা বড় জয় অর্জন করেছে। দলটির প্রার্থীরা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষে একযোগভাবে অর্ধেকেরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন। ইলেকশন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, লা লিবেরটাদ অ্যাভেঞ্জার প্রার্থীরা নিম্নকক্ষে ৬৪টি এবং উচ্চকক্ষে ১৩টি আসন লাভ করেছেন। এর মাধ্যমে দেশটির সংসদে দলের শক্তিশালী অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে।

আর্জেন্টিনার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গত কয়েক বছর ধরে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছিল। করোনা মহামারী, রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি, ঋণের বোঝা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তলানিতে চলে যাওয়ার কারণে দেশটি আর্থিক সংকটে পড়েছিল। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির রক্ষণশীল নেতা জাভিয়ের মিলেই বিজয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নির্বাচনের পর তিনি সরকারি খরচ কমানো এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্দেশ্যে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দেন।

মিলেই তার নির্বাচনী প্রচারণায় ঘোষণা করেছিলেন, তার সরকার হবে “ইলেকট্রিক করাত” এর মতো, অর্থাৎ রাষ্ট্রের অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে, অপ্রয়োজনীয় সরকারি খাত ও সংস্থাগুলি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রেসিডেন্টের এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, তার সরকার গত দুই বছরে শিক্ষা, পেনশন, অবকাঠামো এবং অন্যান্য পরিষেবা খাতে বাজেট কমিয়েছে এবং হাজার হাজার সরকারি কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছে।

মিলেইয়ের সংস্কার কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার বিভিন্ন শহরে বড় আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে, সরকারের কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও জনগণের একটি বড় অংশ তার সংস্কার কর্মসূচির সমর্থক ছিল। নির্বাচনের পূর্ববর্তী নির্বাচনেও লা লিবেরটাদ অ্যাভেঞ্জা পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ৭টি এবং নিম্নকক্ষে ৩৭টি আসনে জয়ী হয়েছিল, যা দলের জনপ্রিয়তা এবং সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়।

এদিকে, মিলেইয়ের বিরোধীরা সন্দেহ প্রকাশ করে বলছেন, সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ ভূমিকা থাকতে পারে। তারা অভিযোগ করেছেন যে, নির্বাচনের ফলাফলের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন যে, যদি মিলেইয়ের দল জয়ী হয়, তাহলে আর্জেন্টিনাকে ৪ হাজার কোটি ডলার সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনের পর মিলেই ট্রাম্পের স্লোগান “আমেরিকাকে ফের মহান করে তুলুন” অনুসরণ করে নিজের বিজয় উদযাপন করেছেন। তার মন্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা আর্জেন্টিনাকে চিরকাল বদলে দেওয়ার জন্য আমাদের সংস্কারকে আরও দৃঢ় ও একীভূত করতে চাই।”

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করেছেন। প্রেসিডেন্টের সমর্থক, তরুণ ভোটার ডিওনিসিও বিবিসিকে বলেন, “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমরা চাই আমাদের সন্তানরা একটি সুন্দর দেশে বেড়ে উঠুক। প্রেসিডেন্ট মিলেই ও তার সরকার আগামী এক বছরের মধ্যে আর্জেন্টিনাকে পরিবর্তন করে দিতে পারবেন।”

তবে, মিলেইয়ের বিরোধী ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষও রয়েছে। জুলিয়ানা নামে একজন তরুণী, যিনি শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের একটি স্কুলে চাকরি করেন, বলেন, “প্রেসিডেন্ট মিলেই ক্ষমতায় আসার পর আমাদের সরকারি ভর্তুকি বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন স্কুল চালাতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমরা আগেও দরিদ্র ছিলাম, কিন্তু মিলেই আসার পর আরও দরিদ্র হয়ে গেছি।”

আর্জেন্টিনার বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং হলেও, প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের দল লা লিবেরটাদ অ্যাভেঞ্জা এই নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে। তাঁর সরকার ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক সংস্কার এবং সরকারি খরচ কমানোর পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে দেশের আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করবে। তবে, জনগণের বিভিন্ন অংশের প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট যে, এই পরিবর্তনগুলি সবাইকে সমানভাবে উপকারে আনছে না এবং বিভিন্ন খাতে সংস্কারের প্রভাব ভবিষ্যতে আরও বিতর্ক তৈরি করতে পারে।

অপরদিকে, দেশটির রাজনৈতিক পরিবেশে ভবিষ্যতে আরও উত্তেজনা দেখা দিতে পারে, কারণ সেসব খাতে সংস্কার চালানো হচ্ছে যেখানে জনগণের অনেক অংশ গভীরভাবে নির্ভরশীল। প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের সরকারকে এখন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে এবং তার সংস্কার পরিকল্পনাগুলির বাস্তবায়ন কতটা সফল হয়, সেটাই আসন্ন দিনগুলিতে দেশটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

সূত্র: বিবিসি

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com