তথ্য অধিদপ্তরের আটটি ক্যাটাগরির ৪৫টি শূন্যপদের চলমান নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। নিয়োগ প্রক্রিয়া যাচাই ও পর্যালোচনার জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) তথ্য অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে গঠিত সাত সদস্যের কমিটি চলমান নিয়োগ কার্যক্রমের সঠিকতা, স্বচ্ছতা ও বিধি-নিষ্পত্তি যাচাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই নির্ধারিত ৪৫টি পদে নিয়োগ বাতিল করা হয়।
বাতিল হওয়া পদগুলো অধিদপ্তরের আটটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের অন্তর্গত ছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে বিদ্যমান প্রক্রিয়ায় কিছু অনিয়ম ও প্রশাসনিক অসংগতি চিহ্নিত করে নতুনভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া গ্রহণের পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে সেই সুপারিশ অনুযায়ী অধিদপ্তর নিয়োগ কার্যক্রম বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে কোন কোন পদ বা ক্যাটাগরি এই সিদ্ধান্তের আওতায় এসেছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
তথ্য অধিদপ্তর দেশের গণমাধ্যম কার্যক্রম, সরকারি তথ্য প্রচার ও জনসংযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন প্রশাসনিক ও কারিগরি পদে জনবল সংকট দীর্ঘদিনের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে তথ্য কর্মকর্তার অভাবের কারণে সরকারি তথ্য কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এই বাতিল সিদ্ধান্তও সেই প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে। তিনি বলেন, “নিয়োগে অনিয়ম বা অসঙ্গতি পাওয়া গেলে তা সংশোধন করা প্রশাসনের দায়িত্ব। নতুনভাবে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পদগুলো পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।”
এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনো নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলে নতুনভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন বা বাতিলের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার একাধিক দপ্তরে নিয়োগ যাচাই কমিটি গঠন করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তথ্য অধিদপ্তরের এই সিদ্ধান্ত সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুশাসন ও জবাবদিহিতা জোরদারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
শব্দসংখ্যা: প্রায় ৬৪০