তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় বালিকেসির প্রদেশে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, নিহত বা আহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় বালিকেসির প্রদেশে সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাতে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৮ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৪৮ মিনিট) ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সিন্দির্গি শহরের কাছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ দশমিক ৯৯ কিলোমিটার গভীরে।
তুরস্কের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা এবং দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা ব্যবস্থাপনা সংস্থা (আফাদ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আফাদ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কম্পন ইস্তানম্বুল, বুরসা, মানসিয়া এবং ইজমির প্রদেশেও অনুভূত হয়েছে। সিন্দির্গি শহরে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির বা গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এটি ছিল ২০২৩ সালের আগস্টের পর দ্বিতীয়বার ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প। আগের ভূমিকম্পের এপিসেন্টারও ছিল সিন্দির্গি, এবং পরবর্তী কয়েক মাসে এই এলাকায় ছোটো আকারের ভূমিকম্প ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তুরস্কের ভূতাত্ত্বিক অবস্থা এবং ভূগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটের ফল্টলাইনের কারণে এ ধরনের ভূমিকম্প ঘটতে থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে, তুরস্কের দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটে, যা তুরস্ক ও সিরিয়ায় ব্যাপক প্রাণহানি এবং ক্ষতি বয়ে আনে। ওই ভূমিকম্পে তুরস্কের ৫৩ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন, এবং সিরিয়ায়ও নিহত হয় অন্তত ৬ হাজার মানুষ।
তুরস্কে ভূমিকম্প একটি নিয়মিত দুর্যোগ হিসেবে দেখা দেয়, কারণ দেশটি ভূগর্ভস্থ বড় ফল্টলাইনের ওপর অবস্থান করছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, ভূমিকম্পের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, এবং এটি দেশটির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
অন্যদিকে, সিন্দির্গি শহরের কাছাকাছি অঞ্চলটি আগামী কিছু মাসেও ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
তুরস্কে ভূমিকম্পের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হলেও, চলমান পরিস্থিতি এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। আফাদ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিসংখ্যান সংগ্রহ ও উদ্ধার কাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। এখন পর্যন্ত, নিহত বা আহত হওয়ার খবর না থাকলেও, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরবর্তী সময়ে আরও স্পষ্ট হতে পারে।