1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
অর্থবছরের শেষ ৬ মাসে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের আশাব্যঞ্জক লক্ষণ : জিইডি জুলাই কন্যা সম্মেলন ২০২৫ উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন মোহাম্মদ সালাহকে স্কোয়াডের বাইরে রেখে ইন্টার মিলান ম্যাচে নামছে লিভারপুল কসমোপ্রফ-ভারত ২০২৫-এ বাংলাদেশি কসমেটিকস পণ্যের সফল প্রদর্শন বেগম রোকেয়ার আদর্শে নারীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদ হত্যায় আজ ট্রাইব্যুনালে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর স্থাপনায় ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলা বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা নিবেদন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত, আহত বহু হাইকোর্টে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চাওয়ার রিট উত্থাপিত হয়নি, আবেদন খারিজ

গাজায় যুদ্ধ শেষ হবে না, যতদিন পর্যন্ত মৃত ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত না দেওয়া হবে

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৮ বার দেখা হয়েছে

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস যদি মৃত সকল ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত না দেয়, তবে গাজায় যুদ্ধ শেষ হবে না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়া’য়াল জামির। সোমবার, জেরুজালেমে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ইউনিট কমান্ডারদের সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমাদের যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। আমরা এক পবিত্র মিশনে আছি, এবং এর প্রধান লক্ষ্য হলো গাজায় নিহত সকল ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করা এবং হামাসের বিরুদ্ধে আমাদের প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখা।”

তিনি আরও বলেন, “আইডিএফ অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকায়। যা আমাদের নৈতিক এবং পেশাগত কর্তব্য, আমরা অবশ্যই তা সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে পালন করব।”

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, হামাসের অতর্কিত হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ১,২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। এর পরদিন, ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় ব্যাপক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। আইডিএফের এই অভিযানে গত দুই বছরে গাজায় ৬৭,০০০’র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১,৭০,০০০’র অধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

এরপর, ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব করেন। ১০ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় ২০টি পয়েন্ট ছিল, যার মধ্যে প্রথম পয়েন্টে উল্লেখ ছিল, জীবিত সকল ইসরায়েলি জিম্মি ও মৃত জিম্মিদের মরদেহ/দেহাবশেষ হস্তান্তর করবে হামাস।

এই প্রস্তাবের পর, হামাস জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, তবে মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। হামাস দাবি করেছে যে, ২৮ জন ইসরায়েলি জিম্মি মারা গেছেন এবং তাদের মরদেহ কোথায় রাখা আছে তা জানে না তারা। হামাসের ভাষ্য অনুযায়ী, যারা এই তথ্য জানত, তারা আইডিএফের অভিযানে নিহত হয়েছে।

এদিকে, আইডিএফ এই যুক্তি মেনে নিতে রাজি হয়নি এবং তাদের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলের তথ্য অনুসারে, হামাস ২৮ মৃত জিম্মির মধ্যে ১৫ জনের মরদেহ/দেহাবশেষ ফেরত দিয়েছে, তবে এখনও ১৩ জনের মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়নি।

ইসরায়েলি সেনাপ্রধান জামির বলেছেন, “যতক্ষণ না সব মৃত ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না।” তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন যে, ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাবে।

এই অবস্থায়, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে এবং গাজায় পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুদ্ধবিরতির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ চললেও, এই ধরনের দাবিগুলো যুদ্ধের অবসান ঘটাতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেয়ার ইস্যু একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের ঘোষণার পর, যুদ্ধের সমাপ্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com