খেলা ডেস্ক
আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকায় আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের মধ্যকার এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। একই সঙ্গে ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচও নির্ধারিত ছিল। সব কিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরও মিয়ানমারের আপত্তিতে দুই ম্যাচই এখন অনিশ্চয়তার মুখে।
সূত্র জানায়, মিয়ানমার আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের মাটিতে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাদের এই আপত্তির পর এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) ও আফগানিস্তান নতুন ভেন্যু খুঁজছে। যদিও ১৮ নভেম্বর কিংস অ্যারেনায় ম্যাচ আয়োজনের অনুমোদন এএফসি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছিল, তবুও এখন সেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসতে পারে।
ফুটবল সংশ্লিষ্টদের মতে, মিয়ানমারের একজন কর্মকর্তা বর্তমানে এএফসির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তার প্রভাবেই ভেন্যু পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়েছে বলে আলোচনা চলছে দেশের ফুটবলাঙ্গনে।
অন্যদিকে, বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান ও এএফসির নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণের নিষ্ক্রিয় ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বাংলাদেশ দল, আবাহনী বা বসুন্ধরা কিংস প্রায়ই এএফসির আয়োজনে নানা জটিলতায় পড়লেও তিনি সে বিষয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেননি।
মিয়ানমার বাংলাদেশে না এলে আফগানিস্তানও না আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ফলে ১৩ নভেম্বর নির্ধারিত বাংলাদেশ-আফগানিস্তান প্রীতি ম্যাচ বাতিলের পথে। এ অবস্থায় বাফুফে এখন বিকল্প প্রতিপক্ষের সন্ধানে রয়েছে। নেপালের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে তারা।
নেপাল ১৮ নভেম্বর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে নিজেদের হোম ম্যাচ খেলবে। তার আগে ঢাকায় এসে প্রীতি ম্যাচ খেলার বিষয়ে আলোচনাও চলছে।
উল্লেখ্য, ১৮ নভেম্বর ঢাকায় আফগানিস্তান-মিয়ানমার ম্যাচ আয়োজনের বিষয়টি বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছিল। তবে দুই দেশের ফুটবল ফেডারেশন কিংবা এএফসির পক্ষ থেকে ম্যাচ বাতিল বা ভেন্যু পরিবর্তন নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।
ফুটবল ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের অনাগ্রহে আফগানিস্তান ম্যাচ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ফলে বাফুফে এখন নতুন প্রতিপক্ষ খুঁজছে, যাতে ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আগে অন্তত একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করা যায়।
এ নিয়ে বাফুফে কর্মকর্তারা এখনো প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে তারা স্বীকার করেছেন—পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।