বিনোদন ডেস্ক
বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার সাফল্যের গল্প একদম সহজ ছিল না। পরিবারের এক কঠিন নির্দেশনা ও সাহসী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আজকের এই সফল তারকা তিনি। স্নাতক শেষ করার পর, যখন তার অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ দৃঢ় হয়, তখন তার পিতা তাকে এক কঠিন পথে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সময় চণ্ডীগড় থেকে মুম্বাই চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে, তাকে পিতার স্বপ্ন পূরণে সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়।
আয়ুষ্মান খুরানার জীবনযাত্রার শুরু ছিল অনেকটা বাধার মধ্যে। কলেজে স্নাতক শেষ করার পর, তিনি থিয়েটারে অভিনয় করতেন, তবে তার পিতা তাঁকে এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। আয়ুষ্মান খুরানাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, অভিনয়ে যদি ক্যারিয়ার তৈরি করতে চায়, তবে চণ্ডীগড়ে থাকা আর সম্ভব নয়। তাকে মুম্বাই চলে যেতে হবে।
তার পিতা, যিনি জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি বিশেষ আগ্রহী, তাকে নিশ্চিতভাবেই এই সিদ্ধান্তের গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন। পিতা তাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, “অভিনয় নিয়ে এগোতে হলে মুম্বাই চলে যাও। চণ্ডীগড়ে থেকে কিছু হবে না। এখনই বেরিয়ে না গেলে, জীবনে আর কিছু করা হবে না।”
আয়ুষ্মান খুরানা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, তার পিতা জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি গভীর আগ্রহী হলেও, তিনি কখনোই এই বিষয়ে বিশ্বাসী ছিলেন না। নিজের নামের বানানেও অতিরিক্ত অক্ষর থাকলেও, তিনি কখনোই জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর নির্ভর করে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেননি।
তিনি বলেন, “আমি সব সময় জ্যোতিষশাস্ত্র থেকে দূরে থেকেছি। আমি কুসংস্কার বা এই ধরনের বিষয়ে বিশ্বাসী নই। আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, কর্মেও বিশ্বাস করি।”
যদিও তার পিতা তাকে মুম্বাই যাওয়ার জন্য তীব্রভাবে চাপ দিয়েছিলেন, তবুও আয়ুষ্মান নিজে এই সিদ্ধান্তে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি মনে করেন, সেই সময় যদি তিনি বাড়ি না ছাড়তেন এবং বাবার নির্দেশ না মানতেন, তাহলে আজকের সফল অভিনেতা হওয়া সম্ভব হতো না।
তিনি বলেন, “যদি আমি বাবার কথা না শুনতাম, তাহলে আজকের মত অভিনেতা হওয়া সম্ভব ছিল না। এই সিদ্ধান্তই আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।”
আজকের আয়ুষ্মান খুরানা শুধু একজন সফল অভিনেতা নন, তিনি একটি নতুন ধরনের বলিউড তারকার প্রতীক। তার অভিনয় দক্ষতা, ভিন্নধর্মী চরিত্রের নির্বাচন এবং সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য তাকে প্রশংসিত করা হয়। আজকের দিনেও, তার জীবনের সেই কঠিন সিদ্ধান্তটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে চিহ্নিত হয়।
এমনকি আজকের আয়ুষ্মান খুরানার ক্যারিয়ারে এই ধরনের সাহসী পদক্ষেপ এবং কঠিন সিদ্ধান্তের প্রভাবও স্পষ্ট। যে নির্দেশনা তার বাবা তাকে দিয়েছিলেন, সেটি যেন তার জীবনের পথচলার অন্যতম মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।