1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বিএনপির সমাপনী কর্মসূচিতে তারেক রহমানের বক্তব্যে দুর্নীতি দমন ও গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর খাদ্যে রাসায়নিক দূষণ রোধে সমন্বিত উদ্যোগের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার স্মৃতি মান্ধানা ও পলাশ মুচ্ছলের বিয়ে ভাঙার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬১ টাইফয়েড টিকা অভিযানে দেশে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুর সুরক্ষা নির্বাচনের আগের রাতে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে আসছে অগ্রগতি এসএমই পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্ব মোস্তাফিজের সফল অভিষেকেও দুবাই ক্যাপিটালসের পরাজয়

যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ, ৩৩ বছর পর পুনরায় পরীক্ষা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৮ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক  ডেস্ক:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে অবিলম্বে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। ৩৩ বছর পর দেশটি ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষায় ফিরছে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন সেনাবাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দেন। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে জানান, তিনি অন্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর মতই যুক্তরাষ্ট্রকেও পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাম্পের মতে, চীন ও রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রেরও তা শুরু করা উচিত।

তিনি আরো বলেন, “চীন অনেক পিছিয়ে, তবে পাঁচ বছরের মধ্যে তারা কাছাকাছি চলে আসবে।” ট্রাম্পের এই মন্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, তিনি সম্ভবত পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষার কথা বলেছেন, তবে এটি পরিষ্কার নয় যে তিনি ক্ষেপণাস্ত্রের ফ্লাইট টেস্টের কথাও উল্লেখ করেছেন কি না।

চীন সম্প্রতি তার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ২০২০ সালে চীনের পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ছিল ৩০০, যা ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ৬০০-এ পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা মনে করেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার এক হাজারেরও বেশি হতে পারে।

এই ঘোষণার পরপরই রাশিয়া তাদের পারমাণবিক শক্তিচালিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও টর্পেডোর সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার পরীক্ষাগুলো বিশ্ব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন সম্প্রতি ‘পোসাইডন’ নামে একটি পারমাণবিক টর্পেডোর সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন, যা উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াবহ তেজস্ক্রিয় সুনামি সৃষ্টি করতে সক্ষম।

অক্টোবর মাসের ২১ তারিখে রাশিয়া নতুন ‘বুরেভেস্তনিক’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় এবং ২২ অক্টোবর পারমাণবিক হামলার মহড়াও পরিচালনা করে। ট্রাম্প এ নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উচিত ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার দিকে মনোযোগ দেওয়া, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে ২০২০ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং চীনের অংশগ্রহণও চেয়েছিলেন। তবে চীন জানায়, তাদের অস্ত্রভাণ্ডার তুলনামূলকভাবে ছোট, তাই এই আলোচনায় যোগ দেওয়া তাদের পক্ষে ‘অবাস্তব’।

এদিকে, ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালায়। এসব পরীক্ষা মূলত নতুন অস্ত্রের কার্যকারিতা যাচাইয়ের পাশাপাশি পুরনো অস্ত্রগুলো এখনও কার্যকর কিনা তা নিশ্চিত করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালায়, তবে তা রাশিয়া ও চীনের কাছে মার্কিন কৌশলগত শক্তির প্রদর্শন হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ইতিহাস বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ১৯৪৫ সালের জুলাইয়ে নিউ মেক্সিকোর আলামোগোর্দোতে প্রথম পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়, যা পরবর্তীতে বিশ্বকে পারমাণবিক যুগে প্রবেশ করায়। একই বছর আগস্টে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটায় যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার ঘোষণা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতার মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পদক্ষেপ হতে পারে, যা বৈশ্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নতুন প্রতিকূলতা তৈরি করতে পারে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com