খেলাধুলা ডেস্ক
পাকিস্তানের ব্যাটিং তারকা বাবর আজমের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা হারানো এই ক্রিকেটারকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে তার জায়গা নিয়েও। তবে কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম মনে করেন, বাবরকে বাদ দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। বরং পাকিস্তান ক্রিকেটে তার দেওয়ার মতো অনেক কিছু বাকি রয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরে বাবরের ব্যাটে ধারাবাহিক রান দেখা যাচ্ছে না। এশিয়া কাপসহ বেশ কয়েকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ছিলেন দলের বাইরে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে পুনরায় দলে ফিরিয়েছে পাকিস্তান নির্বাচকরা। এই প্রত্যাবর্তনকেই আশার বার্তা হিসেবে দেখছেন আকরাম।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াসিম আকরাম বলেন, “বাবরের এখনো অনেক ক্রিকেট বাকি আছে এবং সে পাকিস্তানের জন্য আরো অনেক সাফল্য এনে দিতে পারে। আমাদের সবাইকে তার পাশে থাকতে হবে।”
টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে দুই দলের মধ্যকার টেস্ট সিরিজে বাবর আজম করেছিলেন মোট ১৩১ রান, যেখানে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৫০। চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচে তিনি শূন্য রানে আউট হন, দ্বিতীয় ম্যাচে করেন অপরাজিত ১১ রান।
আকরাম মনে করেন, এমন পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের প্রতি সমর্থন দেখানো জরুরি। তার ভাষায়, “যে কোনো বড় খেলোয়াড়ের জীবনে খারাপ সময় আসে। তখনই প্রয়োজন দল ও সমর্থকদের আস্থা। বাবর এমন একজন, যে এই ধাক্কা সামলে আবারও ফিরতে পারবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে পাকিস্তান দল মুখোমুখি হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে, যা অনুষ্ঠিত হবে ৪ থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর ১১ থেকে ১৫ নভেম্বর পাকিস্তান খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
নভেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে, ১৭ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে একটি টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজ। এই সিরিজগুলোতে বাবর আজমের ফর্ম পুনরুদ্ধারের সুযোগ দেখছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে স্থিতি আনতে বাবরের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব অপরিহার্য। আগামী কয়েক মাসের ব্যস্ত সূচি তার জন্য আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময় হতে পারে।
মাঠে তার প্রত্যাবর্তন এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই হয়তো নির্ধারণ করবে পাকিস্তান দলের ভবিষ্যৎ ব্যাটিং দিকনির্দেশনা। ওয়াসিম আকরামের মতো অনেকে বিশ্বাস করেন, সঠিক সহায়তা পেলে বাবর আজম আবারও পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান স্তম্ভ হয়ে উঠতে পারেন।