অর্থনীতি ডেস্কঃ রাজধানীর বাজারে চলতি সপ্তাহে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে, তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতোই অবস্থানে রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুরগির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই হালকা মূল্যস্ফীতি ঘটেছে।মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে ছিল। লেয়ার মুরগির দাম কমে ৩০০ টাকা হয়েছে, আগের সপ্তাহে এটি ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। পাকিস্তানি মুরগি প্রতি কেজি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ৩২০ টাকা ছিল। দেশি মুরগির দামও কমে ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকায় এসেছে, যেখানে আগের সপ্তাহে দাম ছিল ৬০০ টাকা।
মুরগি ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম সামান্য কমেছে। ফরিদ নামে একজন বিক্রেতা বলেন, “এ সপ্তাহে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে কারণ সাপ্লাই ভালো ছিল।”
বাজারে ক্রেতারা বলেন, যদিও দাম কমেছে, তবুও মূলত ব্রয়লার মুরগির ওপরই তাদের ভরসা রাখতে হয়। মোস্তফা জামান বলেন, “দাম কমলেও অন্যান্য মুরগি আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে আসে না।” আরেক ক্রেতা কাজী আসাদ বলেন, “আমরা আপাতত ব্রয়লার মুরগি ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প বেছে নিতে পারি না।”মুরগির দামের হ্রাসের পাশাপাশি গরু ও খাসির মাংসের বাজারের পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহের মতোই। খাসির মাংস প্রতি কেজি ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা পরিবর্তন হয়নি। ব্যবসায়ীরা বলেন, এই দুটি মাংসের সরবরাহে তেমন কোনো ওঠানামো না থাকার কারণে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মুরগির সরবরাহ বৃদ্ধি ও ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সামঞ্জস্যের কারণে দাম সামান্য কমেছে, তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল থাকার প্রবণতা রয়েছে। তারা মনে করান, ক্রেতাদের জন্য বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং সঠিক মূল্য ব্যবস্থাপনা মাংসের বাজারে সমতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।