অনলাইন ডেস্কঃ
গ্রিসের অভিবাসন ও আশ্রয় মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শরণার্থী মর্যাদা পাওয়া কোনো ব্যক্তি যদি নিজ দেশে বা তৃতীয় কোনো দেশে ভ্রমণ করেন, তবে তার আশ্রয় মর্যাদা স্থগিত বা বাতিল করা হতে পারে। মন্ত্রণালয় মনে করছে, নিজের দেশে ফিরে যাওয়া মানে ওই ব্যক্তির আর কোনো ঝুঁকি নেই।
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডও একই নীতি প্রণয়ন করেছে। সেখানে আশ্রয়প্রার্থীরা জরুরি পরিস্থিতি (যেমন আত্মীয়স্বজনের মৃত্যু) ছাড়া তৃতীয় দেশে বা নিজ দেশে ভ্রমণ করতে পারবে না। জরুরি অবস্থায় আবেদন করতে হবে এবং অনুমোদন পেতে হবে। সুইস সরকার জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নীতি চূড়ান্তভাবে কার্যকর হবে।
গ্রিস সরকার সামাজিক সুবিধা ও ভর্তুকিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। হেলিওস আবাসন কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ প্রায় ৩০% কমিয়ে ২৮৮ মিলিয়ন ইউরো করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য সরাসরি আবাসন ভর্তুকি বন্ধ করা হচ্ছে। এর পরিবর্তে তাদেরকে কাজের সুযোগ ও পেশাগত প্রশিক্ষণ ও গ্রিক ভাষা শেখার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তি দেওয়া হবে।
গ্রিসের অভিবাসন ও আশ্রয়মন্ত্রী থানোস প্লেভরিস বলেছেন, যারা গ্রিসে আশ্রয় পাবেন, তারা আর ভর্তুকির ওপর নির্ভর করতে পারবেন না। বর্তমানে এথেন্স শহরের কেন্দ্রে থাকা বাসাগুলো বাজারে ছাড়া হবে এবং আর্থিক সহায়তা ৫০% পর্যন্ত কমিয়ে মৌলিক প্রয়োজন পূরণের জন্য সীমিত রাখা হবে। ভবিষ্যতে সহায়তা শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন মেটানোর জন্যই সীমাবদ্ধ থাকবে।
মূল পরিবর্তনগুলো:
নিজের দেশে বা তৃতীয় দেশে ভ্রমণ করলে আশ্রয় মর্যাদা বাতিলের প্রক্রিয়া।
সামাজিক ভর্তুকি ও আবাসন সুবিধা ৩০% কমানো।
সহায়তা সীমিত করা হবে মৌলিক প্রয়োজন ও পেশাগত অন্তর্ভুক্তিতে।
হেলিওস কর্মসূচির অর্থ পেশাগত প্রশিক্ষণ ও ভাষা শেখার জন্য ব্যবহার।
সূত্র: কাথিমেরিনি, ইনফোমাইগ্রেন্টস