অর্থনীতি ডেস্ক
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২ নভেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে। এদিন যে সংখ্যক সিকিউরিটিজের দর বেড়েছে, তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যকের দর কমেছে। এর ফলে ডিএসইর সব সূচক নিচে নামলেও লেনদেনের পরিমাণ ছিল গত ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাজার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, রোববার ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৮টির, কমেছে ২০৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬০টির দর। দরপতন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১১৬টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৫১টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৪০টি শেয়ার ও ইউনিট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর কমে যাওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৬ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে ৫ হাজার ১১৬ পয়েন্টে নেমে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার সূচকটি ছিল ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। এছাড়া, ডিএসই শরিয়াহ সূচক (ডিএসইএস) ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে এবং ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
যদিও সূচক কমেছে, তবুও লেনদেনের পরিমাণে ছিল উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। ডিএসইতে রোববার মোট লেনদেন হয়েছে ৫৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৬৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বেশি। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৪৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। ডিএসইতে সর্বশেষ এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ১৪ অক্টোবর, সেদিন মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৬০৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকায়।
অন্যদিকে, দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) রোববার সূচক ও লেনদেন উভয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএসপিআই ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৩১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে এবং সিএসসিএক্স সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৮২৬ পয়েন্টে উঠেছে।
সিএসইতে মোট ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৯২টির দর বেড়েছে, ৬১টির কমেছে এবং ৩৩টির দর অপরিবর্তিত ছিল। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৫২ লাখ টাকার, যা আগের কার্যদিবসের ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার তুলনায় প্রায় ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি।
বিশ্লেষকদের মতে, ডিএসইতে সূচক পতনের পরও লেনদেন বৃদ্ধি বাজারে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দেয়। তবে অধিকাংশ শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্ক মনোভাব বিদ্যমান। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, সুদের হার, এবং সাম্প্রতিক আর্থিক নীতিমালা বাজারে প্রভাব ফেলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।