1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

বাংলাদেশে জলবায়ু তহবিলের ৫৪ শতাংশে দুর্নীতি: টিআইবি

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৬ বার দেখা হয়েছে

অর্থনীতি ডেস্ক

বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে জাতীয় তহবিলের (বিসিসিটি) ৫৪ শতাংশ বরাদ্দ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৮৯১টি প্রকল্পে সংঘটিত দুর্নীতির আনুমানিক পরিমাণ ২৪৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা প্রায় ২ হাজার ১১০ কোটি টাকার সমান।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের সময় টিআইবি এই তথ্য তুলে ধরে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটি) থেকে মোট ৪৫৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ অনুমোদিত হয়। এর মধ্যে ৫৪ শতাংশ বরাদ্দে দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়েছে বলে টিআইবির প্রাক্কলন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাস্টি বোর্ড ও কারিগরি কমিটির কিছু সদস্যের যোগসাজশে এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রকল্প অনুমোদনের প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। অথচ তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা অনিয়ম রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

টিআইবি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রয়োজন প্রায় ১২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উৎস মিলিয়ে বছরে গড়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৮৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রয়োজনের মাত্র শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।

গবেষণায় আরও বলা হয়, জাতীয় তহবিল থেকে বরাদ্দ প্রতিবছর গড়ে ৮ দশমিক ২ শতাংশ হারে কমছে, যদিও আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে বরাদ্দ বেড়েছে ৪৩ দশমিক ৮ শতাংশ হারে। তবুও এই বরাদ্দকে প্রতিবেদনে প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত সীমিত বলা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় তহবিলের প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা ও ব্যর্থতা অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোট ৮৯১টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৪৯টির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ। গড়ে এসব প্রকল্পের মেয়াদ ৬৪৮ দিন থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫১৫ দিন, অর্থাৎ প্রায় ১৩৪ শতাংশ সময় বৃদ্ধি। কোনো কোনো প্রকল্প, যার মেয়াদ চার বছর ছিল, তা বাস্তবায়নে লেগেছে সর্বোচ্চ ১৪ বছর পর্যন্ত।

একইভাবে আন্তর্জাতিক তহবিলের প্রকল্পেও সময় বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। ৫১টি প্রকল্পের মধ্যে ২১টির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, যা মোট প্রকল্পের ৪১ দশমিক ২ শতাংশ। গড়ে এসব প্রকল্পের মেয়াদ ১ হাজার ৯৫৮ দিন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৭৮ দিনে, অর্থাৎ ৫২ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশের প্রতি বছর জলবায়ু ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। কিন্তু ২০০৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পেয়েছে মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল।”

তিনি আরও বলেন, জাতীয় তহবিলের বরাদ্দের ৫৪ শতাংশ দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক অদক্ষতা, জবাবদিহিতার ঘাটতি ও সুশাসনের অভাব এই দুর্নীতির মূল কারণ। টিআইবি মনে করে, জলবায়ু তহবিল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্তগ্রহণ এবং কঠোর জবাবদিহি নিশ্চিত না করলে দেশের জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম গুরুতরভাবে ব্যাহত হবে।

প্রতিবেদনে আরও সুপারিশ করা হয়, জলবায়ু তহবিল ব্যবস্থাপনায় সংসদীয় নজরদারি জোরদার করা, প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাঠামোগত সংস্কার করা প্রয়োজন।

টিআইবি মনে করে, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার উদ্যোগ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না, বরং আর্থিক ক্ষতি ও নীতিগত অকার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com