বিনোদন ডেস্ক
অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা সম্প্রতি এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেছেন। পুরস্কার গ্রহণের পর দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের কাজের ধরন, শিল্পচর্চা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে খোলামেলা মত প্রকাশ করেন।
ভাবনা জানান, সম্মাননা পাওয়ায় তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। তবে তার এই আনন্দের কারণ কেবল অভিনয় বা নাচের স্বীকৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তার মতে, পুরস্কারটি কেবল একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নয়, বরং তার সৃষ্টিশীল বহুমুখী কাজের প্রতি স্বীকৃতি হিসেবে এসেছে।
ভাবনা বলেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি কোনো একধরনের কাজে সীমাবদ্ধ থাকতে চাননি। “আমি সবসময়ই চেয়েছি আমার ভালো লাগার কাজগুলো করতে। আমি অভিনয় করি, নাচ করি, মডেলিং করি—এগুলো আমার পছন্দের জায়গা। তবে আমি কখনোই নিজেকে একটি মাত্র পরিচয়ে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না,” বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আজ আমি খুশি এই কারণে যে, এই সম্মাননাটি আমাকে শুধু অভিনয় বা নাচের জন্য দেওয়া হয়নি। আয়োজকেরা আমাকে ‘প্যাশনেট আর্টিস্ট’ হিসেবে সম্মানিত করেছেন। এই পরিচয়টাই আমার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান।”
ভাবনা দীর্ঘদিন ধরে অভিনয়, নাচ ও মডেলিংয়ের পাশাপাশি লেখালেখি এবং বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে যুক্ত রয়েছেন। তিনি টেলিভিশন নাটকের পাশাপাশি মঞ্চনাটকেও সমানভাবে সক্রিয়। তার মতে, একজন শিল্পীর আসল শক্তি হচ্ছে বহুমাত্রিক সৃষ্টিশীলতা ও নিরন্তর শেখার আগ্রহ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভাবনা অভিনীত একাধিক নাটক ও নাচের পরিবেশনা প্রশংসা কুড়িয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন তিনি। ভাবনা বিশ্বাস করেন, শিল্পের প্রতিটি শাখাই মানুষের প্রকাশের মাধ্যম এবং সেখানেই তার কাজের অনুপ্রেরণা।
তিনি বলেন, “আমি চেষ্টা করি প্রতিটি কাজে নিজের সেরাটা দিতে। যে কাজই করি না কেন, সেটিতে আমি মন থেকে সম্পৃক্ত থাকি। শিল্প আমার কাছে শুধুমাত্র পেশা নয়, এটি আমার জীবনের অংশ।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ভাবনা জানান, তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি নতুন কিছু প্রযোজনা ও সৃজনশীল প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। “আমি চাই আমার কাজগুলো মানুষকে অনুপ্রাণিত করুক। শিল্পী হিসেবে আমার লক্ষ্য সমাজে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া,” বলেন তিনি।
সাম্প্রতিক এই সম্মাননা ভাবনার শিল্পজীবনের একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তার মতে, এই স্বীকৃতি নতুন করে অনুপ্রেরণা জোগাবে আরও বৈচিত্র্যময় ও অর্থবহ সৃষ্টিকর্মে মনোনিবেশ করতে।