1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র ও সূচি ঘোষণায় ট্রফি স্পর্শবিষয়ক বিভ্রান্তি নিয়ে ব্যাখ্যা ফিফার বার্সেলোনার গোলবন্যায় রিয়াল বেটিস পরাস্ত ভারত–রাশিয়া ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত অস্থিরতার কারণে: পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা নূর সিনেমা ওটিটিতে মুক্তির আগে আলোচনায় শুভ–ঐশীর অভিনয় নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগে কওমি সনদের অন্তর্ভুক্তি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ১১৪ অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে রায়েরবাজারে মরদেহ উত্তোলন শুরু বিএনপি মহাসচিবের দাবি—ধর্মের নামে দেশে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা চলছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট প্রস্তুতি পর্যালোচনায় নির্বাচন কমিশনের বৈঠক তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ও পঞ্চদশ সংশোধনী বিষয়ে হাইকোর্টের রায়–বিরোধী আপিলের শুনানি শুরু মন্দিরা চক্রবর্তীর নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে ভক্তদের আগ্রহ

ডিক চেনির মৃত্যুতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের শোক

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১২ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। সোমবার (৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে ৮৪ বছর বয়সে চেনি মৃত্যুবরণ করেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে নিউমোনিয়া ও হৃদযন্ত্র এবং রক্তনালীর জটিলতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বুশ প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ডিক চেনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী ভাইস প্রেসিডেন্টে পরিণত হন। সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের পরিকল্পনা ও ২০০৩ সালের ইরাক আগ্রাসনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচিত ও বিতর্কিত হন।

জর্জ ডব্লিউ বুশ এক বিবৃতিতে বলেন, “ডিক চেনির মৃত্যু জাতির জন্য বড় ক্ষতি এবং বন্ধুদের জন্য গভীর বেদনার বিষয়। ইতিহাস তাকে তার প্রজন্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে স্মরণ করবে।”
তিনি আরও বলেন, “চেনি ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক, যিনি সততা, প্রজ্ঞা এবং দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রতিটি দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি তার সৎ ও স্পষ্ট পরামর্শের ওপর নির্ভর করতাম এবং তিনি কখনো ব্যর্থ হননি। তিনি তার বিশ্বাসে অটল ছিলেন এবং আমেরিকান জনগণের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন।”

চেনির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কনডোলিজা রাইসও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি লিখেছেন, “আমি তার সততা ও দেশপ্রেমের জন্য গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তিনি ছিলেন অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা ও অসাধারণ পরামর্শদাতা, যিনি জনসেবার প্রকৃত মানে শিখিয়েছেন।”

এ ছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও চেনির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও আমি সবসময় তার নিষ্ঠা ও কর্তব্যবোধকে সম্মান করেছি।”

রিপাবলিকান পার্টির দীর্ঘদিনের প্রভাবশালী এই নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে দলের নীতির সমালোচক হিসেবে পরিচিতি পান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। যদিও ট্রাম্প এখনো চেনির মৃত্যুর বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি, হোয়াইট হাউস জানিয়েছে যে তিনি বিষয়টি অবগত আছেন।
রিপাবলিকান প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন বলেন, “ধর্মগ্রন্থে বলা আছে, যার সম্মান প্রাপ্য, তাকে সম্মান দেওয়া উচিত। রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও তার সেবা ও ত্যাগকে সম্মান জানাতে হবে।”

চেনির মৃত্যুর ঘোষণার পর মঙ্গলবার সকালে হোয়াইট হাউসের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

১৯৪১ সালের ৩০ জানুয়ারি নেব্রাস্কার লিংকনে জন্মগ্রহণ করেন রিচার্ড “ডিক” চেনি। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করলেও স্নাতক সম্পন্ন করতে পারেননি। পরবর্তীতে ওয়াইওমিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
১৯৬৮ সালে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান উইলিয়াম স্টেইগারের সহকারী হিসেবে ওয়াশিংটনে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের চিফ অব স্টাফ হন চেনি, যা ছিল তার দ্রুত রাজনৈতিক উত্থানের সূচনা। পরে এক দশক তিনি প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের প্রশাসনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৯০-৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক অভিযানের তত্ত্বাবধান করেন তিনি। ২০০১ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন চেনি।

রাজনীতিতে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের মাধ্যমে তিনি যেমন প্রভাব বিস্তার করেছেন, তেমনি যুদ্ধনীতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে তার দৃঢ় অবস্থানের কারণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং বিতর্কিত নেতাদের একজন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com