অর্থনীতি ডেস্ক
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন বাজারে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমলেও টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, দিনশেষে প্রধান সূচক ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের তুলনায় ৩২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৮৬ পয়েন্টে। একইভাবে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৪০ পয়েন্টে।
বাজারে মোট ৩৯৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বেড়েছে, ২৬৭টির কমেছে এবং ৬৩টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
লেনদেনের পরিমাণে দেখা যায়, দিনটিতে ডিএসইতে ৪৮৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩১ কোটি ৯২ লাখ টাকা বেশি। মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৫৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
বাজার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা এবং কোম্পানিগুলোর মুনাফা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে শেয়ারবাজারে চাপ তৈরি হয়েছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের আংশিক সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকেও পতন দেখা গেছে। দিনশেষে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮ পয়েন্টে।
সিএসইতে মোট ১৮৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ৪০টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, ১২১টির কমেছে এবং ২৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন সিএসইতে ২৪ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, বাজারে সূচকপতন সত্ত্বেও লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি বাজারে সীমিত আশাবাদের ইঙ্গিত দেয়। তবে তারা মনে করছেন, শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে বিনিয়োগবান্ধব নীতি, আর্থিক স্বচ্ছতা ও কোম্পানিগুলোর শক্তিশালী আর্থিক প্রকাশ নিশ্চিত করা জরুরি।