অর্থনীতি ডেস্ক
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেনে পতন লক্ষ্য করা গেছে। দিনের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমে যায়, ফলে বাজারে মন্দাভাব দেখা দেয়।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১১টার তথ্য অনুযায়ী, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। একই সময়ে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩৮ পয়েন্টে নেমে আসে।
লেনদেনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ সময় ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৭৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১১৫টির দর বৃদ্ধি পেয়েছে, ১৯০টির দর কমেছে এবং ৬৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সকাল ১১টা পর্যন্ত মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৯ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা কম।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্ক মনোভাব বিরাজ করছে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, তারল্য সংকট এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সীমিত অংশগ্রহণের প্রভাব ডিএসইর লেনদেনে পড়ছে। এর পাশাপাশি কিছু খাতভিত্তিক শেয়ারে মুনাফা উত্তোলনের প্রবণতাও বাজারের গতি মন্থর করছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকেও একই প্রবণতা দেখা গেছে। সিএসই সূত্রে জানা গেছে, সিএসই অল শেয়ার প্রাইস ইনডেক্স (সিএএসপিআই) আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে এ সময় ৪৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২১টির দর বেড়েছে, ১৭টির কমেছে এবং ৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অনিশ্চয়তা ও সীমিত ক্রয়চাপের কারণে বৃহস্পতিবারের শেষ কার্যদিবসেও বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। তবে তারা আশা প্রকাশ করেছেন, নতুন সপ্তাহের শুরুতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং ইতিবাচক আর্থিক ঘোষণা পেলে বাজারে লেনদেনের গতি ও সূচকে পুনরুদ্ধার দেখা যেতে পারে।