জাতীয় ডেস্ক
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃতব্য জরাজীর্ণ স্থাপনাসমূহের তালিকা চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গত ২০ অক্টোবর ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই চূড়ান্ত তালিকাভুক্ত ভোটকেন্দ্রসমূহের মধ্যে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সীমানা প্রাচীর নেই, দরজা-জানালা ভগ্নদশায় রয়েছে বা সামান্য সংস্কার ও মেরামতের প্রয়োজন, সেসব কেন্দ্রের বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত ছকের মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ করে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা “নির্বাচন সহায়তা-১” শাখায় পাঠাবেন। প্রতিটি তালিকা হার্ড কপি এবং নিকস ফন্টে প্রস্তুত সফ্টকপি আকারে জমা দিতে হবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম নির্বিঘ্ন ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন করা। জরাজীর্ণ বা অনুপযুক্ত ভবনসমূহ সংস্কার করলে ভোটার, নির্বাচনকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য আরও উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, প্রতি জাতীয় নির্বাচনের আগে ভোটকেন্দ্রগুলোর অবকাঠামোগত অবস্থা পর্যালোচনা ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা হয়। এবারও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাঠ পর্যায়ের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিশেষ করে যেসব গ্রামীণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে, সেসব স্থাপনায় নিরাপত্তা ও প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এসব সংস্কার কার্যক্রম ভোটগ্রহণের আগে শেষ করার লক্ষ্যে সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) সহায়তা নেওয়া হতে পারে।
এই পদক্ষেপকে নির্বাচন প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কমিশনের মতে, উপযুক্ত ভোটকেন্দ্র অবকাঠামো নিশ্চিত করা হলে ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়বে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর হবে।