বিনোদন ডেস্ক:
জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির প্রায় এক বছরের বিরতির পর নতুন টেলিভিশন নাটকে ফিরছেন। আসন্ন রোমান্টিক-কমেডি নাটক ‘মেরি জিন্দেগি হ্যায় তু’-তে প্রথমবারের মতো তিনি জুটি বাঁধছেন অভিনেতা বিলাল আব্বাস খানের সঙ্গে। নাটকটি পরিচালনা করেছেন মুসদ্দিক মালিক এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন রাদাইন শাহ।
হানিয়া আমির পাকিস্তানি টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। ‘মুক পেয়ার হুয়া থা’, ‘মেরে হামসফর’, ‘সাং-এ-মাহ’, ‘আন্না’ ও ‘দিলরাবা’র মতো সফল নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দেশ-বিদেশের দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বাংলাদেশেও তার অভিনয় ও উপস্থিতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপুল সাড়া ফেলেছে।
অভিনয়জীবনের ধারাবাহিক সাফল্যের পর হানিয়া সর্বশেষ অভিনয় করেন ‘কভি মে কভি তুম’ নাটকে, যেখানে তার সহ-অভিনেতা ছিলেন ফাহাদ মোস্তফা। নাটকটি ২০২৪ সালের নভেম্বরে শেষ হয়। এরপর তিনি নাটক থেকে বিরতি নিয়ে মনোযোগ দেন তার প্রথম ভারতীয় পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র ‘সর্দারজি ৩’-এ। সেখানে তার সহশিল্পী ছিলেন জনপ্রিয় পাঞ্জাবি তারকা দিলজিৎ দোসাঞ্জ।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ‘মেরি জিন্দেগি হ্যায় তু’ নাটকের মাধ্যমে আবারও ছোট পর্দায় ফিরছেন হানিয়া। পাকিস্তানি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নাটকটি ২০২৫ সালের ৭ নভেম্বর থেকে সম্প্রচার শুরু হবে। এটি প্রতি শুক্র ও শনিবার রাত ৮টায় প্রচারিত হবে।
প্রায় দশ মাসের প্রস্তুতির পর গত সপ্তাহে নির্মাতারা নাটকের প্রথম টিজার প্রকাশ করেন, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। প্রকাশিত দুটি প্রমো ইতোমধ্যেই দর্শকদের আগ্রহ ও প্রত্যাশা বাড়িয়েছে।
‘মেরি জিন্দেগি হ্যায় তু’ নাটকটি মূলত একটি হালকা ধাঁচের রোমান্টিক-কমেডি গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত। শিল্পীজুটি হানিয়া আমির ও বিলাল আব্বাস খানের রসায়ন নিয়ে দর্শকমহলে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে, কারণ দুজনই বর্তমান পাকিস্তানি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে অন্যতম।
নাটকের পরিচালক মুসদ্দিক মালিক পূর্বে ‘ইক ঝুটি লাভ স্টোরি’ ও ‘ধুপ কি দিওয়ার’-এর মতো সফল কাজ পরিচালনা করেছেন, যা দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে দেশ-বিদেশে। ফলে এই নতুন প্রকল্প নিয়ে প্রত্যাশা আরও বেড়েছে।
‘মেরি জিন্দেগি হ্যায় তু’ নাটকের সফল প্রচারণা ও তারকাদের জনপ্রিয়তার কারণে এটি পাকিস্তানি ড্রামা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম আলোচিত মুক্তি হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দর্শকদের প্রত্যাশা, নাটকটি হানিয়া আমিরের বিরতির পর ফের আলোচনায় ফেরার সুযোগ তৈরি করবে।