আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উত্তর কোরিয়া শুক্রবার তাদের পূর্বাঞ্চলীয় জলসীমার দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জিসিএস) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে, তবে তারা ক্ষেপণাস্ত্রের ধরন, উৎক্ষেপণ দূরত্ব বা অন্যান্য প্রযুক্তিগত বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচি জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইইজেড) এর বাইরে পড়েছে এবং উৎক্ষেপণের পরে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ইয়োনহাপ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া বর্তমানে সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। দেশের নেতা কিম জং-উন চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে এই পরীক্ষা সম্পন্ন করা সম্ভব। বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদের গোয়েন্দা কমিটির একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা আইনপ্রণেতাদের ব্রিফ করেন এবং তাদের মূল্যায়ন তুলে ধরেন। শাসক দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংসদ সদস্য পার্ক সান-ওন এবং বিরোধী দল পিপল পাওয়ার পার্টির লি সিয়ং-কিউন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জানান, “যদি কিম পুংগ্যে-রি পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য ৩ নম্বর টানেল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন, তবে তা অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব।”
উত্তর কোরিয়ার গত মাসের একাধিক স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ এবং পারমাণবিক পরীক্ষা পরিচালনার সম্ভাব্য পরিকল্পনা উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি তাদের সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় চাপ তৈরি করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপগুলো দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।