1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
অতীত সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল :সালাহউদ্দিন আহমদ সেতুর নাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হামলা, পণ্ড হলো আয়োজন ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে ৯১৬ জনের মৃত্যু, ২৭৪ জন নিখোঁজ গোয়ার বাগা বিচে নাইটক্লাবের অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু, তদন্ত শুরু সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় লাহোর শীর্ষে, ঢাকার অবস্থান তৃতীয় খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত জুলাই–আগস্ট আন্দোলন: কুষ্টিয়ায় ছয় হত্যাসহ আট অভিযোগে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সাক্ষ্যগ্রহণ আজ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

গাজায় পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক পরীক্ষা: মেক্সিকোয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২০ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মেক্সিকোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, গাজায় যা ঘটছে তা সমান শক্তির সংঘর্ষ নয়, বরং এটি এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি নৈতিক পরীক্ষা।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) মেক্সিকোতে আয়োজিত ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) রাষ্ট্রদূত গ্রুপের বৈঠকে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, “২৮ দিন আগে যুদ্ধবিরতি শুরু হলেও এ সময়ের মধ্যে ২৩৭ জন ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। এই সংখ্যাটিই বিশ্বের বিবেককে নাড়া দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এমন যুদ্ধবিরতিকে শান্তি বলা যায় না, যেখানে এখনো শিশুদের দাফন করতে হয়।”

রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, গাজায় চলমান সংঘাতের বাস্তবতা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এটি শুধু দুটি পক্ষের সামরিক মোকাবিলা নয়, বরং নিরীহ মানুষের ওপর অব্যাহত সহিংসতার প্রতিফলন। তার মতে, এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক অবস্থান এবং মানবাধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতির কঠিন পরীক্ষা হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে দৃঢ় ও অবিচলভাবে দাঁড়িয়ে আছে। জাতিসংঘে দেওয়া আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করছি—ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হলে শান্তি টিকে না, আর অনাচার দেখে চোখ বন্ধ রাখা মানেই তাতে সহায়তা করা।”

রাষ্ট্রদূত আনসারী বলেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের পূর্ণ জবাবদিহি নিশ্চিত করা, তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার প্রদান এবং একটি টেকসই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার পুনঃপ্রতিশ্রুতি এখন জরুরি। তিনি বলেন, “দুই-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের একমাত্র ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধান।”

বক্তৃতায় তিনি ওআইসি সদস্য দেশগুলোর ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “আমাদের ঐক্য যেন কেবল কূটনৈতিক বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ না থাকে। প্রতিটি আন্তর্জাতিক ফোরামে এবং প্রতিটি রাজধানীতে এই আহ্বান আরও জোরালোভাবে তুলতে হবে, যতক্ষণ না বিশ্ববাসী এই বার্তা শোনে।”

তিনি উল্লেখ করেন, গাজার মানবিক পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও খাদ্য, ওষুধ এবং আশ্রয়ের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। শিশু ও নারীসহ বেসামরিক নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আনসারী বলেন, “এমন পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোকে বাধাগ্রস্ত করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”

রাষ্ট্রদূতের মতে, বিশ্ব সম্প্রদায়কে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে—তারা ন্যায়বিচার ও মানবতার পক্ষে দাঁড়াবে, নাকি নীরবতার মাধ্যমে অন্যায়ের পাশে অবস্থান নেবে। তিনি বলেন, “গাজায় নিরপরাধ মানুষের কান্না থামাতে হলে আমাদের কণ্ঠ আরও উচ্চ করতে হবে, এবং এই মানবিক বিপর্যয় রোধে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে।”

ওআইসি রাষ্ট্রদূতদের এই বৈঠকে বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকরা গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেন। মেক্সিকোয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর বক্তব্য সেখানে উপস্থিত প্রতিনিধিদের মধ্যে গভীর সাড়া জাগায়।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com