আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘতম সরকারি অচলাবস্থার কারণে টানা দ্বিতীয় দিনও দেশের আকাশপথে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) একদিনেই ১,৪০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, আর আরও প্রায় ৬,০০০ ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। এ পরিস্থিতি আগামী কয়েক দিনে আরও জটিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, বেতন ছাড়া কাজ করা বিমান নিয়ন্ত্রকদের ক্লান্তি ও অনুপস্থিতির কারণে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত ৪০টি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হচ্ছে। শনিবার নিউ জার্সির নিউয়ার্ক লিবার্টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে দেখা গেছে সবচেয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার সময়, যেখানে ফ্লাইটগুলো গড়ে চার ঘণ্টা বিলম্বিত হচ্ছিল। শার্লট/ডগলাস, নিউয়ার্ক এবং শিকাগো ও’হেয়ার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টগুলোতে সর্বোচ্চ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
এফএএ জানায়, আগামী কয়েক দিনে ফ্লাইট বাতিলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১১ নভেম্বর ৬ শতাংশ, ১৩ নভেম্বর ৮ শতাংশ এবং ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল করা হবে। এ ব্যবস্থা নিরাপত্তা বজায় রাখতে নেওয়া হয়েছে, কারণ বেতন ছাড়াই কাজ করায় বিমান নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে ক্লান্তি ও অনুপস্থিতি বেড়েছে।
শাটডাউনের কারণে ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি এজেন্সির (টিএসএ) ৬৪ হাজার কর্মীরও অধিকাংশ বেতন পাচ্ছেন না, যা বিমানবন্দর নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলছে। এ পরিস্থিতি মার্কিন সাধারণ মানুষকে সরাসরি প্রভাবিত করছে।
এছাড়া ব্যক্তিগত জেটের চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, যাতে বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোতে ব্যবস্থাপনা সহজ হয়। শাটডাউনের অবসান ঘটাতে সিনেটররা সপ্তাহান্তেও আলোচনায় ব্যস্ত, কিন্তু অর্থায়ন নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের দ্বন্দ্ব এখনও মেটেনি।
সংক্ষেপে, যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন ইতিহাসের দীর্ঘতম ৩৯তম শাটডাউন দেশের আকাশপথে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে, এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ধাপে ধাপে ফ্লাইট বাতিল ও সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।