খেলাধুলা ডেস্ক
শেষ পাঁচ দিনে তৃতীয়বারের মতো শেষ ওভারে গড়ালো নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। নেলসনে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ম্যাচে নাটকীয় এক লড়াইয়ে কাইল জেমিসনের শান্ত ও কার্যকর বোলিংয়ে জয় তুলে নেয় স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ব্ল্যাক ক্যাপরা জেতে ৯ রানে এবং পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
ম্যাচের শুরুটা ছিল নিউজিল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে। ব্যাটিংয়ে নেমে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে তোলে ১৭৭ রান। দলের ইনিংসের ভিত্তি গড়েন ওপেনার ডেভিড কনওয়ে, যিনি ৩৪ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৬ রান করেন। তার সঙ্গে ড্যারিল মিচেল ২৪ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। প্রথম দুটি জুটিতে নিউজিল্যান্ড পায় শক্ত ভিত—টিম রবিনসন ও কনওয়ের মধ্যে ৪৭ রানের এবং রাচিন রবীন্দ্রর সঙ্গে কনওয়ের আরেকটি ৫০ রানের জুটি। তবে শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে ছন্দ হারায় স্বাগতিকরা, শেষ ৬ উইকেট হারায় মাত্র ৩১ রানে।
১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন দ্রুত ভেঙে পড়ে। ইনিংসের মাঝপথে ৮৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে এক প্রকার বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দলটি। কিন্তু নবম উইকেটে রোমারিও শেফার্ড ও শামার স্প্রিঙ্গার অসাধারণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এই দুজন মিলে ৭৮ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচে ফেরান ক্যারিবীয় দলকে।
শেষ দুই ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। শেফার্ড টানা এক ওভারে ছয় ও চার মেরে ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলেন। শেষ বলে জ্যাকব ডাফির বল ফিরতি ক্যাচে স্প্রিঙ্গার (৩৯) আউট হলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় নিউজিল্যান্ডের দিকে।
শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। কাইল জেমিসন অসাধারণ নিয়ন্ত্রণে বোলিং করে মাত্র ২ রান দেন এবং শেষ বলে শেফার্ডকে (৪৯) আউট করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ইশ সোধি ও জ্যাকব ডাফি ছিলেন সবচেয়ে কার্যকর। তারা দুজনই তিনটি করে উইকেট নেন, যা প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন গুঁড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরাজয়ের পরও তাদের দৃঢ় মনোবল প্রশংসনীয় ছিল। ধ্বংসস্তূপ থেকে লড়ে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ায় রোমারিও শেফার্ড ও স্প্রিঙ্গারকে কৃতিত্ব দিতে হয়। তবে শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতা ও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
নেলসনের এই জয়ের মাধ্যমে সিরিজে ২-১ এগিয়ে গেল ব্ল্যাক ক্যাপরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে বাকি দুটি ম্যাচে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ—সিরিজে টিকে থাকতে হলে পরবর্তী ম্যাচে জয় ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।