1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
অতীত সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল :সালাহউদ্দিন আহমদ সেতুর নাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হামলা, পণ্ড হলো আয়োজন ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে ৯১৬ জনের মৃত্যু, ২৭৪ জন নিখোঁজ গোয়ার বাগা বিচে নাইটক্লাবের অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু, তদন্ত শুরু সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় লাহোর শীর্ষে, ঢাকার অবস্থান তৃতীয় খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত জুলাই–আগস্ট আন্দোলন: কুষ্টিয়ায় ছয় হত্যাসহ আট অভিযোগে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সাক্ষ্যগ্রহণ আজ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

চীনে ভোক্তা মূল্যবৃদ্ধি: স্থবিরতা কাটিয়ে সামান্য পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২১ বার দেখা হয়েছে

অর্থনীতি ডেস্ক

চীনে গত অক্টোবর মাসে ভোক্তা মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কয়েক মাস ধরে চলা স্থবিরতা ও মূল্যপতনের ধারার বিপরীত ইঙ্গিত দিচ্ছে। দেশটি বর্তমানে সম্পত্তি খাতে ঋণ সংকট, দুর্বল ভোক্তা ব্যয় এবং উচ্চ যুব বেকারত্বসহ নানা অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার মুখোমুখি।

চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতির প্রধান সূচক ‘ভোক্তা মূল্যসূচক’ (সিপিআই) ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ০.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি টানা দুই মাসের পতন এবং জুলাই মাসের স্থবিরতার পর প্রথম ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি।

অর্থনীতিবিদদের মতে, এই বৃদ্ধি এখনো দুর্বল হলেও এটি চীনা অর্থনীতিতে ভোক্তা চাহিদার কিছুটা পুনরুজ্জীবনের ইঙ্গিত দেয়। তবে সামগ্রিকভাবে দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এখনো ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।

বেইজিং সরকার করোনা-পরবর্তী সময় থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে রিয়েল এস্টেট খাতে ঋণসংকট চীনের আর্থিক স্থিতিশীলতার বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী নিম্ন ভোগব্যয় এবং উচ্চ বেকারত্বও অভ্যন্তরীণ বাজারে চাপ সৃষ্টি করছে।

চীনের অর্থনৈতিক সংকটে বহিরাগত প্রভাবও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য যুদ্ধ রপ্তানি নির্ভর শিল্পগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এর ফলে উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থবিরতাকে দীর্ঘায়িত করেছে।

অক্টোবরের শেষদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর মধ্যে আলোচনার পর দুই দেশের মধ্যে একটি প্রাথমিক সমঝোতা গঠিত হয়। এই কূটনৈতিক অগ্রগতি দুই অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদিও এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এখনো অনিশ্চিত।

এনবিএসের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে ‘ফ্যাক্টরি গেট’ বা উৎপাদন পর্যায়ের মূল্যও হ্রাস পেয়েছে, তবে আগের মাসের তুলনায় কম হারে। উৎপাদনকারী মূল্যসূচক (পিপিআই) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.১ শতাংশ কমেছে, যা আগের মাসের ২.৫ শতাংশ পতনের চেয়ে সামান্য উন্নতি নির্দেশ করে।

পিপিআই কমে যাওয়ার অর্থ হলো, দেশটির শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তীব্র মূল্য প্রতিযোগিতার কারণে লাভজনকতা ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। চীনা সরকার এই চাপ মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রণোদনা ও নীতিগত সহায়তা দিচ্ছে, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোক্তা মূল্যবৃদ্ধির এই সামান্য উন্নতি চীনের সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর পথে একটি ইতিবাচক সঙ্কেত হতে পারে। তবে স্থায়ী পুনরুদ্ধারের জন্য ভোগব্যয় বৃদ্ধি, সম্পত্তি বাজারে স্থিতিশীলতা এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারসাম্য রক্ষা অপরিহার্য বলে মনে করছেন তারা।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com