আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সান্তিয়াগো: দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলিতে আগামী ১৬ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, এবং এর মধ্যে নির্বাচনি প্রচারণায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে রক্ষণশীল প্রার্থী এভলিন ম্যাথেইয়ের একটি মিউজিক ভিডিও। ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা এই ভিডিওতে ম্যাথেই তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কটাক্ষ করেছেন, যা নিয়ে দেশটির বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।
বর্তমান সময়ে নির্বাচনী প্রচারণায় আধুনিক প্রযুক্তি এবং সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সভা, সেমিনার, বিতর্ক, লিফলেট বিতরণসহ প্রচারণার প্রথাগত পদ্ধতিগুলোর পাশাপাশি সঙ্গীত ও ভিডিওর মাধ্যমে প্রচারণার নতুন কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে। চিলি তার ব্যতিক্রম নয়, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো নির্বাচনী প্রচারণার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
এভলিন ম্যাথেই সম্প্রতি একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যা ইতিমধ্যে ব্যাপক আলোচিত। ভিডিওটির মধ্যে তার দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী—জোসে আন্তোনিও কাস্ট এবং জিনেট জারা—কে কটাক্ষ করা হয়েছে। ম্যাথেইয়ের সমর্থকরা এই ভিডিওটি প্রশংসা করেছেন, তবে সমালোচকরা এর কনটেন্ট এবং সঙ্গীতের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
স্থানীয় এক ভোটার বলেন, “প্রার্থীরা আমাদের সমর্থন পেতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন। এটি খারাপ কিছু নয়, বরং একটি আধুনিক প্রচারণার অংশ হিসেবে এটি স্বাভাবিক। সঙ্গীতের মাধ্যমে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ একটি কার্যকরী পদ্ধতি।”
তবে, অনেক তরুণ ভোটার এই প্রচারণা কৌশল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। একজন তরুণ ভোটার বলেন, “এটি অপ্রয়োজনীয় এবং অপমানজনক। আমি মনে করি না, এ ধরনের কৌশল তাকে নির্বাচনে জয়ী করতে সাহায্য করবে।”
তবে, ভিডিওটির জনপ্রিয়তা এবং ইউটিউবে মাত্র কয়েকদিনে আড়াই লাখ ভিউ অর্জন করার মাধ্যমে এটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সঙ্গীত ভিডিওটির শুরুতেই ম্যাথেই তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে সরাসরি কটাক্ষ করেছেন, যা দেশটির রাজনৈতিক দৃশ্যপটে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
চিলির নির্বাচন কমিশন সার্ভেলের তথ্যমতে, এবারের নির্বাচনে প্রায় ১৬০ লাখ ভোটার তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন। এর মধ্যে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ, যারা নির্বাচনী প্রচারণায় সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করছেন।
এখন পর্যন্ত এই মিউজিক ভিডিওটি প্রার্থীদের মধ্যে একটি আলোচিত প্রচারণা কৌশল হিসেবে গণ্য হচ্ছে, তবে এর রাজনৈতিক প্রভাব এবং জনমত কীভাবে পরিবর্তিত হবে, তা দেখতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।