বিনোদন ডেস্ক
ঢাকা: বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণের ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’ ২০২৫ আসরের সবগুলো পর্ব সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো প্রতিযোগী অংশগ্রহণের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় নাচ, গান, আবৃত্তি, কৌতুক, গল্প বলা, অভিনয়সহ মোট ১২টি বিষয়ে প্রতিভাবান শিশু-কিশোররা নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন।
এই দীর্ঘ প্রতিযোগিতা শেষে, আগামী ১৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে সেরা প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার জন্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজয়ী প্রতিযোগী ও তাদের অভিভাবকদের ১২ নভেম্বর (বুধবার) বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঢাকা কেন্দ্র, রামপুরায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মাহবুবুল আলম ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বলেন, “‘নতুন কুঁড়ি’ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের মেধা, মনন এবং সাংস্কৃতিক বিকাশের অন্যতম মঞ্চ। এই মঞ্চ থেকেই উঠে এসেছে বহু খ্যাতনামা শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। এবারের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানও ওই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় নবীন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
তিনি আরও বলেন, “নতুন কুঁড়ির পুরস্কার বিতরণ শেষ হলেও, এই শিশু-কিশোররা তাদের শিল্পচর্চা থেমে রাখবে না। তাদের জন্য ভবিষ্যতে নিয়মিত অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে যে, আগামী ‘নতুন কুঁড়ি’ পর্যন্ত এসব শিল্পীদের নিয়ে নতুন নতুন অনুষ্ঠান নির্মাণ করা হবে। এছাড়া, ছুটির দিনে ‘শিশু প্রহর’ নামে একটি বড় অনুষ্ঠান আয়োজনেরও পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে শিশু-কিশোররা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিষয়ে অংশগ্রহণ করবে।”
‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি দেশের তরুণ শিল্পীদের জন্য একটি স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে, যেখানে তারা নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শন করতে পারে। এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিভিশন শিশু-কিশোরদেরকে আগামী দিনের শিল্পী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
প্রতিযোগিতার শেষ হলেও, ‘নতুন কুঁড়ি’ অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের জন্য ভবিষ্যতে আরও অনেক সুযোগ তৈরি করা হবে। অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে তারা শিল্পচর্চা অব্যাহত রাখবে এবং নতুন কর্মপরিকল্পনাগুলো তাদের মেধা ও প্রতিভাকে আরও বিকশিত করতে সহায়তা করবে।